নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ৩ জনকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। ঘটনার ৫ বছর পর সুবিচার পেয়ে খুশি জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বাসিন্দা ওই পরিবার।
সরকার পক্ষের আইনজীবী দেবাশিস দত্ত জানিয়েছেন, ২০০০ সালের ১০ অগাস্ট সন্ধ্যায় নাবালিকাকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় কেউ। তার পর থেকে নাবালিকার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাতে যে ফোনে ফোন পেয়ে নাবালিকা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল তাতে ১০ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড পান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে রহমান আলি নামে এক যুবকের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। ঘটনার পরদিন রাজগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ পেয়ে রাজগঞ্জ থানার সিআই দীপোজ্জ্বল ভৌমিক তদন্তে নেমে পড়েন। তদন্তে নেমে রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেরায় ধৃত জানায়, নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করে সে ও তাঁর ২ বন্ধু। এর পর কাজিগর রহমান নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্গে লুকিয়ে রেখেছে দেহটি। কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার ৬ দিনের মাথায় সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর পচন ধরা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর রহমানের সঙ্গে থাকা ২ অভিযুক্ত জামিরুল ও সামিরুলকেও গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।
৫ বছর ধরে জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালতে মামলা চলার পর বৃহস্পতিবার ৩ খুনি রহমান, জামিরুল ও সামিরুলকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন বিচারক রিন্টু শূর। এই রায়ে খুশি নিহতের পরিবার। তাদের দাবি, মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখেছিল রহমান। এর পর বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে নাবালিকাকে খুন করে সে।