সমবায় নির্বাচনে ধাক্কা খেল তৃণমূল। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকে তৃণমূলের গড়েই এবার ফুটল পদ্ম! দীর্ঘ আট বছর পর অনুষ্ঠিত ডুমা ফিসারমেনস কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে জয় পেল বিজেপি। ৯টি আসনের মধ্যে ৬টি দখলে এনে সমবায়ের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিল গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন: বিরোধীরা মাঠে নেই, বালি সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির সব আসনে জয়ী তৃণমূল
শশাডাঙা ও বর্ণবেড়িয়ার সমবায় সমিতি সেই হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। এবার আরও একটি সমবায় হাতছাড়া হল তৃণমূলের। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল নির্বাচনের পথে না গিয়ে এতদিন জোর করে সমবায়ের দখল ধরে রেখেছিল । তাঁদের অভিযোগ, বারবার ভোটের দাবি জানানো সত্ত্বেও তাতে কর্ণপাত করেনি শাসকদল। এভাবে ভোট না করিয়ে ৮ বছর সমবায় সমিতি নিজেদের দখলে রেখেছিল শাসক দল। এবার ভোট হতেই সেই চিত্র বদলে গেল। এই সমবায়ের ভোট হয়েছে সবাইপুর আদর্শ বিদ্যাপীঠ স্কুলে। ভোটকে ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীদের মধ্যে একাধিকবার বচসা, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। গণনার সময় আরও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার অভিযোগ করেন, তৃণমূল গণনা কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করে। তাঁর অভিযোগ, ফলাফল খারাপ হতে চলেছে বুঝতে পেরে তৃণমূল অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। গণনা শেষ হতেই দেখা যায়, ৬টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি, আর ৩টি তৃণমূলের দখলে। উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগে একজন বিজেপি প্রার্থীকে ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের মতে, মানুষ ভোট দিয়েছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তৃণমূল জোর করে জিততে চেয়েছিল, কিন্তু গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি-বামফ্রন্টের একাংশের গোপন বোঝাপড়ার ফলে এই ফল হয়েছে। তবু কেন ভোটাররা তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন তা খতিয়ে দেখা হবে। উল্লেখ্য,২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে এই ফল নিঃসন্দেহে বিজেপি কর্মীদের মনোবল বাড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।