খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কেউ বোমা রেখে গিয়েছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় কয়েকজনের অভিযোগ, বাড়ির সিঁড়ির কাছে বোমাগুলি মজুত রাখা ছিল। কোনও কারণে সেখানে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল, বাড়ির দেওয়াল, ছাদ ফেটে গিয়েছে। তবে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি এখনও।
ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে পুলিশ।
এগরা, বজবজের বিস্ফোরণের তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। আর এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। তার মধ্যেই বীরভূমের দুরবাজপুরে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল এলাকা। আর এই বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি। বাড়িতে কি বোমা মজুত ছিল? নাকি কেউ বোমা রেখে গিয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটালো? উঠছে প্রশ্ন। আজ, সোমবার দুপুরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। অভিযোগ, ওই কর্মীর বাড়িতে বোমা মজুত ছিল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এদিকে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে বীরভূমকে টার্গেট করেছে বিজেপি। তার উপর তৃণমূল কংগ্রেসের এই জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহাড় জেলে বন্দি। এমন আবহে বীরভূমের দুবরাজপুরে বোমা বিস্ফোরণ হওয়ায় বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এগরা বা বজবজের ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও হাত নেই বলা হচ্ছে। কিন্তু দুবরাজপুরের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। তার বাড়িতেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। সুতরাং এখন বিরোধীরা তো সুযোগ নেবেই। যা ড্যামেজ কন্ট্রোল করা কঠিন।
অন্যদিকে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দুবরাজপুরের ঘোরাপারা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ সফিকের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কেউ বোমা রেখে গিয়েছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় কয়েকজনের অভিযোগ, বাড়ির সিঁড়ির কাছে বোমাগুলি মজুত রাখা ছিল। কোনও কারণে সেখানে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, বাড়ির দেওয়াল, ছাদ ফেটে গিয়েছে। তবে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি এখনও।