গত জুলাই থেকে অশান্ত বাংলাদেশ। সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ নতুন করে অস্থির হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়ছে। সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে একের পর এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের অনুপ্রবেশও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে আতঙ্কের মধ্যে থাকছেন সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষজন। যদিও সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। আর এই সীমান্তগুলির একটি হল বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত। এই পরিস্থিতিতে বনগাঁর সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি বাড়াতে বসানো হল সিসিটিভি। বনগাঁ ব্লকের ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েত এলাকার সীমান্তে শুক্রবার ৫০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ভুয়ো নথি তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূলকর্মী
বাংলাদেশে কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল গত জুলাই মাস থেকে। সেই আন্দোলন ক্রমে গণঅভ্যুত্থানের রূপ নেওয়ায় সরকার পতন হয় অগস্টে। অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নিলেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। সম্প্রতি নতুন করে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের অস্থির হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে। এই পরিস্থিতিতে ভারতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের কথা মাথায় রেখে বনগাঁ সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের প্রায় পুরোটাই বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত। এখান থেকে অতীতে বেশ কয়েকবার জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ থেকে এদেশে অনুপ্রবেশ করে নানা ধরনের অসামাজিক কাজে তারা যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। আবার চোরাপথে বাংলাদেশে পালিয়ে যাচ্ছে। তারফলে অনেক সময় আক্রান্ত হয়ে থাকেন এই পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের সুরক্ষা এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য এই পঞ্চায়েত এলাকায় ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের তহবিল থেকে এই ৫০টি সিসিটিভি বসানো হয়েছে। এর জন্য খরচ পড়েছে ৬ লক্ষ টাকা। তবে আগামী দিনে সেখানে নজরদারি বাড়াতে আরও সিসিটিভি বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান উমা ঘোষ জানিয়েছেন, ‘পঞ্চায়েত এলাকার মানুষকে নিরাপদে রাখা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ রুখতে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।’ পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা যাতে চোরাপথে এদেশে না আসতে পারে তার উপর সব পক্ষকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। নজরদারি বাড়ানোর জন্য আগামী দিনে আরও সিসিটিভি বসানো হবে।