দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী জয়ী হলেন। গনি খানের গড় রক্ষা করলেন ইশা খান। চারদিকে সবুজ ঝড়ের মাঝে হাত চিহ্নের মান রক্ষা করলেন ইশা। ১ লক্ষ ১৫ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে ভেঙে গিয়েছে অধীর গড়। অধীর চৌধুরী পরাজিত। তবে মান রক্ষা করেছেন ঈশা খান চৌধুরী। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপির প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।
এখানে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হান।
রাজ্য়ের একমাত্র কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী জয়ী হয়েছেন। উল্লাসে, আবির মেখে , বাজনা বাজিয়ে জয়ের আনন্দ উপভোগ করছেন কংগ্রেস কর্মীরা।
এদিকে দক্ষিণ মালদা লোকসভা আসন আগে থেকেই কংগ্রেসের দখলে ছিল। এবার আবু হাসেন খান চৌধুরী ভোটে দাঁড়াননি। তার জায়গায় তাঁরই ছেলে ঈশা খান চৌধুরীকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। এখানে এবার ত্রিমুখী লড়াই হয়েছিল। তবে শেষ হাসি হাসলেন ঈশা।
ঈশা খান চৌধুরী বলেন, ভালো খবর হচ্ছে যে ইন্ডিয়া জোটের সংখ্য়াটা গোটা দেশে বাড়ছে। এটা একটা ভালো দিক। বাবার সঙ্গে কথা হয়নি। তবে বাবার সঙ্গে দেখা করব। আমাদের লিডাররা বললেন যে রেজাল্ট হয়ে যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে এনডিএ বেশি দূর এগোতে পারবে না। মালদায় আমরা এক নম্বরে আসব।
দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রে এবার জোরালো প্রচারে নেমেছিল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বিজেপির প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন। এবার শ্রীরূপা নির্ভয়া দিদি নামে প্রচার করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় পেলেন ঈশা খান চৌধুরী।
অনেকের মতে সংখ্য়ালঘু অধ্যুষিত এলাকা মালদা দক্ষিণ। সেখানে সংখ্য়ালঘু ভোট ছিল একটা বড় ফ্য়াক্টর। তবে তার মধ্যে ভোটে এগিয়ে থাকার সবরকম চেষ্টা করেছিল সব রাজনৈতিক দল। তবে শেষ হাসিটা হাসলেন ঈশা খান চৌধুরী।
রাজনৈতিক মহলের মতে, আসলে এই আসনে এবার একাধিক ফ্য়াক্টর কাজ করেছে। এখনও মালদায় গনি পরিবারের প্রতি মানুষের একটা দুর্বলতা কাজ করে। কংগ্রেসের প্রতি আবেগও আছে। সেই সঙ্গেই ঈশা খান উচ্চ শিক্ষিত স্বচ্ছ ইমেজের একজন ব্যক্তিত্ব। তাঁর এই ইমেজই তাঁকে এগিয়ে দিল অনেকটা। সেই সঙ্গেই আগাগোড়া পাশে থাকলেন সংখ্য়ালঘুরা।