বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > World Cup ticket black marketing: 'থানায় আসতে হবে….', টিকিটের কালোবাজারি নিয়ে BCCI সভাপতিকে নোটিশ কলকাতা পুলিশের
পরবর্তী খবর
World Cup ticket black marketing: 'থানায় আসতে হবে….', টিকিটের কালোবাজারি নিয়ে BCCI সভাপতিকে নোটিশ কলকাতা পুলিশের
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 05 Nov 2023, 12:18 PM ISTAyan Das
বিশ্বকাপের টিকিট কালোবাজারি নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। তারইমধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতিকে নোটিশ দিল কলকাতা পুলিশ। তবে তাঁকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে বলে নির্দিষ্টভাবে কোনও নির্দেশ দেয়নি কলকাতা পুলিশ।
বিশ্বকাপের টিকিট কালোবাজারি নিয়ে বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে নোটিশ কলকাতা পুলিশের। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এক্স ও সমীর জানা/হিন্দুস্তান টাইমস)
টিকিটের কালোবাজারি মামলার তদন্তে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট রজার বিনিকে নোটিশ পাঠাল কলকাতা পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্টকে সেই নোটিশ পাঠিয়ে জানানো হয়েছে যে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নিয়ে ময়দান থানায় হাজিরা দিতে হবে। তবে বোর্ড প্রেসিডেন্টকেই ময়দান থানায় হাজিরা দিতে হবে, এমন কোনও নির্দেশ দেয়নি কলকাতা পুলিশ। কোনও উপযুক্ত ব্যক্তিও বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে ময়দান থানায় হাজিরা দিতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আপাতত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এবার বিশ্বকাপে একটি সেমিফাইনাল এবং একটি ভারতের ম্যাচ-সহ মোট পাঁচটি ম্যাচ পেয়েছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স। বিশেষত বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল এবং একটি ভারতের ম্যাচের টিকিটের জন্য ব্যাপক চাহিদা ছিল। সেজন্য অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হতেই অনেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কাউকে দু'ঘণ্টা ভার্চুয়ালি ‘লাইন’ দিতে বলা হয়েছিল। কাউকে আবার বলা হয়েছিল যে তিন ঘণ্টা পরে তিনি টিকিট পেতে পারেন। তার জেরে অনেকেই টিকিট পাননি। আর তা নিয়েই বেড়েছে ক্ষোভ। টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগ ওঠে।
সেই পরিস্থিতিতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে ময়দান এবং এন্টালি থানায় মোট সাতটি এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযোগ করা হয়, অনলাইনে নামমাত্র টিকিট ছাড়া হয়েছিল। প্রচুর টিকিট কালোবাজারিদের হাতে চলে গিয়েছে, যাতে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করে বেশি টাকা কামানো যায়। আর সেটা হয়েছে অনলাইনে বিক্রয়কারী সংস্থা, ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি) এবং বিসিসিআইয়ের একাংশের মদতে।
সেই প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা। তৎপরতার সঙ্গে চলতে থাকে তদন্ত। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালিয়ে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের একাধিক টিকিট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় কমপক্ষে ২১ জনকে। তদন্তের স্বার্থে অনলাইনে টিকিট বিক্রয়কারী সংস্থা এবং সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠানো হয়। যদিও সিএবির তরফে দাবি করা হয়েছে, টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে বাংলার ক্রিকেট সংস্থার কোনও হাত নেই।