কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। দুই পুলিশকর্মীর উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় এক ব্যক্তি। পরে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি আসলে বাংলাদেশের নাগরিক এবং সে ভারতে রয়েছে অবৈধভাবে। ধৃত বাংলাদেশি নাগরিকের নাম সুলতান। বর্তমানে সে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: কালীঘাটে ধৃত বাংলাদেশি কীভাবে পেলেন ‘খাঁটি ভারতীয়’ ড্রাইভিং লাইসেন্স?
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, সুলতানের জন্ম বাংলাদেশে। সে ২০০৬ সালে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে চোরাপথে ভারতে প্রবেশ করে। এরপর শিয়ালদা হয়ে কলকাতায় এসে হাওড়ার ফুলবাজার থেকে ফুল কিনে মল্লিকবাজার এলাকায় বিক্রি শুরু করে। দীর্ঘ সময় ধরে এ দেশে বসবাস করলেও তাঁর কাছে ভারতের কোনও বৈধ পরিচয়পত্র নেই। পুলিশ আরও জানাচ্ছে, ওই ব্যক্তি নিয়মিত মাদকাসক্ত। ঘটনার দিনও সে নেশাগ্রস্ত অবস্থাতেই ঘোরাফেরা করছিল বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
শনিবার রাতে স্ট্র্যান্ড রোডে এক কনস্টেবলের চোখে পড়ে, এক ব্যক্তি লোহার রড হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ফুটপাথে। সন্দেহজনক আচরণ দেখে ওই কনস্টেবল রডটি কেড়ে নেন। এরপর থানার ভিতর থেকে ডিউটি শেষ করে বেরোচ্ছিলেন এএসআই পার্থ চন্দ ও কনস্টেবল সুখেন্দু মাঝি।সেই মুহূর্তে আচমকাই সুলতান ছুরি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে দু’জনের উপর। পুলিশ সূত্রে খবর, ছুরির কোপে পার্থবাবুর মুখে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং সুখেন্দু মাঝিও আহত হন। দুই পুলিশকর্মীকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ধস্তাধস্তির সময় সুলতান নিজেও সামান্য জখম হয়েছে। তাঁকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য, তারপর পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।