আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গতকাল আদালতে সাক্ষ্য দিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার। শিয়ালদা অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের আদালতে এই প্রথম সিবিআই তদন্তকারী অফিসারদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হল। এই মামলায় প্রথম থেকেই আরজি করের পড়ুয়া এবং জুনিয়র চিকিৎসদের একাংশ অভিযোগ করে এসেছে, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কারণেই ওই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল। এরপর সেই হত্যাকে প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টাও হয়েছিল। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। তদন্তে নেমে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার পরাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতারও করেছিল সিবিআই। তবে ৯০ দিনের মধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই আবহে দুই অভিযুক্তই জামিন পেয়েছেন। (আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশিগুলো বেশিরভাগ নিজের সেনা হাতে মরে...', পালানোর পরামর্শ পেলেন ইউনুস)
আরও পড়ুন: আরজি কর মামলায় CBI এবং নিজেদের আগের আইনজীবীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা
উল্লেখ্য, আরজি কর মামলায় মোট সাক্ষীর সংখ্যা ৫১। এর মধ্যে মামলায় ৫০তম সাক্ষী হিসেবে তদন্তকারী অফিসারের প্রথম দফার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় গতকাল। মামলার শুনানির প্রথমদিন সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল নির্যাতিতার বাবার। এদিকে নির্যাতিতার মায়ের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি এই মামলায়। আর রিপোর্ট অনুযায়ী, মামলার ৫১তম সাক্ষ্য দেবে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। (আরও পড়ুন: 'আমাদের দুই শত্রু: মুজিববাদ ও হিন্দুত্ববাদ', মন্তব্য বাংলাদেশি নেতার)
আরও পড়ুন: 'ভারতের কাছে বাংলদেশের সার্বভৌমত্ব লিজ রেখেছিল…', বিস্ফোরক বাংলাদেশের সারজিস আলম
আজি কর কাণ্ডে ফের একবার আন্দোলনে পথে নেমেছেন জুনিয়র চিকিসকরা। তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পেতেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ছিল এই দু'জনের বিরুদ্ধে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিতে পারেনি সিবিআই। এই বিতর্কের মাঝেই সম্প্রতি সামনে আসে আরও একটি প্রশ্ন। দাবি করা হয়, আরজি কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের আটতলার ওটি কমপ্লেক্সের একটি ঘর নাকি সিল করে রাখা আছে। কিন্তু কেন সেই ঘর সিল আছে, তা জানা নেই জুনিয়র চিকিৎসকরদের। (আরও পড়ুন: আওয়ামি লিগকে 'অগণতান্ত্রিক' ভাবে মুছে ফেলতে ছক বাংলাদেশে? ভোট নিয়ে উঠছে প্রশ্ন)
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলায় সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। তাহলে কেন আটতলার ঘর সিল করে রেখেছে সিবিআই? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, আরজি করের আটতলায় অর্থোপেডিক, পেডিয়াট্রিক, প্লাস্টিক সার্জারি, ইউরোলোজির অস্ত্রোপচারের জন্য চারটি ওটি ঘর রয়েছে। অর্থোপেডিক টেবিল ২-এর ঠিক উল্টোদিকের ঘর সিল করেছে সিবিআই। এই ঘরে নাকি ওটি-তে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ, সলিউশন স্টোর করে রাখা হয়।