মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ ২১ জুলাই। তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা ইভিন্ট ‘শহিদ দিবস’। তার জেরে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা এবং কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ—আজ, শুক্রবার বাংলার সব রাস্তা এসে মিশছে মধ্য কলকাতার ধর্মতলায়। ইতিমধ্যেই গ্রাম থেকে শহর—সর্বত্র শহিদ দিবসের প্রস্তুতিতে পোস্টার–ব্যানারে ছয়লাপ। আজকের মঞ্চ থেকেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের বার্তা দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো বলে খবর। আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে দারুণ সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এখন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকদের উৎসাহ উদ্দীপনা চরমে উঠেছে। এই আবহে আজ, সকালে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাঁকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে একটি প্রাইভেট গাড়িতে করে ওই ব্যক্তি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢুকে পড়েন। এখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। তখনই ওই গাড়িকে আটকায় পুলিশ। তখন ওই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশকর্মী বলে পরিচয় দেয়। উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের সন্দেহ হওয়ায় পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন। কিন্তু ওই ব্যক্তি কিছুই দেখাতে পারেননি। তখন ওই ব্যক্তিকে কালীঘাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। একুশে জুলাইয়ের দিন এমন ঘটনা ঘটায় সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের কাছ থেকে একটি ভুয়ো পরিচয়পত্র মিলেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। ধৃত ব্যক্তির নাম নূর আমিন।
অন্যদিকে ২০২২ সালের জুলাই মাসেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাঁচিল টপকে এক ব্যক্তি ঢুকে পড়েছিল। সারারাত ঘাপটি মেরে পড়েছিল সে। কিন্তু সকালে সেখান থেকেই ধরা পড়ে যায়। তখন তাকে আটক করে পুলিশ কর্মীরা তুলে দিয়েছিলেন কালীঘাট থানার পুলিশের হাতে। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘিরে তৈরি হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়। আর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গোপনে অনুপ্রবেশের ঘটনায় অভিযুক্ত হাফিজুল মোল্লাকে দোষী সাব্যস্তও করেছে আদালত। সেই ঘটনার রেশ আজও কাটেনি। তার মধ্যেই আবার ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলেন এক ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: ‘আমি ন্যায়সঙ্গত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাব’, একুশে জুলাইয়ে শপথ বার্তা অভিষেকের
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই ঘটনা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই ঘটনার খবর ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। কালীঘাট চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার পর কেন এমন ঘটল? উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কি বড় কোনও ষড়যন্ত্রের ছক ছিল? বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকের পর এই রাজ্যে ফেরার পর এমন ঘটনা সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আজকের গুরুত্বপূর্ণ দিনে আবার ভুয়ো পরিচয় দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করল এক ব্যক্তি। যা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।