গত ২৭ জুলাই এক মর্মান্তিক ঘটনায় দিল্লির ওল্ড রাজেন্দ্রনগরের এর কোচিং সেন্টারে মৃত্যু হয়েছে তিন ইউপিএসসি পরীক্ষার্থীর। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বেসমেন্টে লাইব্রেরি ছিল সেই কোচিং সেন্টারে। ভারী বৃষ্টির জেরে বেসমেন্টে জল ভরে যাওয়ার জেরেই ডুবে মৃত্যু হয় সেই তিন পড়ুয়ার। আর এরপর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এই আবহে একই দিনে রাজধানীর এই 'আইএএস কারখানা'য় ১৩টি কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দিল দিল্লি পুরসভা। প্রতি ক্ষেত্রেই বেসমেন্টটিকে বেআইনি ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। (আরও পড়ুন: যে কোচিং সেন্টারে মৃত্যু হল ৩ UPSC ক্যান্ডিডেটের, সেখানে পড়ার ফি কত জানেন?)
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের নির্দেশিকায় না-খুশ, হোয়াটসঅ্যাপ কি ভারত ছাড়ছে? সামনে এল নয়া আপডেট
আরও পড়ুন: বাংলার সরকারি কর্মীদের 'অ্যাপ্রেসাল' সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি অর্থ দফতরের
যে সব কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলি হল - আইএএস গুরুকুল, চাহাল অ্যাকাডেমি, প্লুটাস অ্যাকাডেমি, সাই ট্রেডিং, আইএএস ব্রিজ, টপার্স অ্যাকাডেমি, দৈনিক সংবাদ, সিভিল ডেইলি আইএএস, কেরিয়ার পাওয়ার, ৯৯ নোট, বিদ্যা গুরু, নির্দেশিকা আইএএস, ইজি ফর আইএএস। এই বিষয়ে দিল্লি পুরসভার মেয়র শেলী ওবেরয় বলেন, 'এই কোচিং সেন্টারগুলি বেআইনি ভাবে বেসমেন্ট ব্যবহার করছিল। এগুলি সিল করে কর্তৃপক্ষকে নোটিস দেওয়া হয়েছে।' এই সব কোচিং সেন্টারেই শুধুমাত্র গাড়ি পার্কিং এবং জিনিসপত্র রাখার গুদামঘর হিসাবে ব্যবহারের অনুমতি ছিল। তবে এই সব কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে ক্লাসরুম পর্যন্ত রয়েছে। এটা নিয়মবিরুদ্ধ। এদিকে যে রাউ'স কোচিং সেন্টারে বিপত্তি ঘটে, সেই কোচিং সেন্টারকে কয়েকদিন আগেই নোটিশ পাঠানো হয়েছিল পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায়। সম্প্রতি দিল্লির মুখার্জিনগর এলাকায় একটি কোচিং সেন্টারে আগুন লেগে যাওয়ার পর এলাকার সব কোচিং সেন্টার খতিয়ে দেখেছিল প্রশাসন। সেই সময়ই এই কোচিং সেন্টারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে দমকলের থেকে ফের কোচিং চালানোর ছাড়পত্র পেয়েছিল তারা। তবে বেসমেন্টে বেআইনি ভাবে লাইব্রেরি খোলা রেখেছিল তারা। আর তাই এই তিন পড়ুয়ার প্রাণ গেল।