ভারতীয় দল সদ্য বর্ডার গাভাসকর ট্রফি শেষ করেছে। হিসেব মতো এখনও খেলা চলার কথা ছিল যদি টিম ইন্ডিয়া লড়াইটা ঠিকঠাক দিতে পারত। কিন্তু সিডনিতে বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুলরা বিপর্যস্ত হয়েই কার্যত হেরেছে। কোনও মতে ফলো অন বাঁচানো মানেই যে ম্যাচ জেতা নয়, সেটা যদি গাব্বা টেস্ট থেকে বুঝতে পারত ভারতীয় ক্রিকেটাররা, তাহলে হয়ত দলেরই ভালো হত।
আরও পড়ুন-BGTতে ব্যর্থ হলেও এখনই অবসর নয় বিরাটের! তবে টেস্ট দলে ঢুকতে দিতে হবে লাল বলে পরীক্ষা!
সুযোগ পাননি দেবদূত-
প্রথম টেস্ট ম্যাচে পার্থে সুযোগ পেয়েছিলেন দেবদূত পাডিক্কাল। শুভমন গিল সেই ম্যাচে চোটের কারণে খেলতে পারেননি, সেই জন্য সুযোগ চলে এসেছিল দেবদূতের কাছে। যদিও তিনি নজর কাড়তে ব্যর্থ হন। দুই ইনিংসেই বড় রান করতে পারেননি। অবশ্য বিরাট এবং যশস্বী জসওয়াল বাদে সেই ম্যাচে লোকেশ রাহুল একটু আধটু নজর কাড়লেও দলের ব্যাটারদের ধারাবাহিকতা মোটেই ছিল না।
আরও পড়ুন- ISL - ১১তারিখ ডার্বি হচ্ছে না কলকাতায়! সরতে পারে ভুবনেশ্বরে! FSDLর দিকেই তাকিয়ে মোহনবাগান
দেবদূত মন জিতলেন অস্ট্রেলিয়ানদের-
সেই দেবদূত পাডিক্কাল রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা আসতে আসতে সেদেশ ছেড়ে দেশে ফিরছেন। সামনে ইংল্যান্ড সিরিজও রয়েছে। আর এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় এমন এক কাজ করলেন ভারতীয় মিডল অর্ডার ব্যাটার পাডিক্কাল, যা মন জিতে নিয়েছেন দুই দেশের ক্রিকেটভক্তদেরই। সোশাল মিডিয়ায় তাঁর সেই কাজ ভাইরাল।
আরও পড়ুন-‘আরও গোল করতে পারতাম’, ৩ গোলে জিতেও বলছেন মোলিনা! লিস্টনের ভাবনায় এখন শুধুই ডার্বি
ক্রিকেট সরঞ্জাম কিনে দেওয়ার প্রস্তাব-
আসলে অস্ট্রেলিয়ায় এক ক্রিকেট সরঞ্জাম বিক্রির দোকানেই গেছিলেন দেবদূত পাডিক্কাল। সেখানে অভিভাবককে সঙ্গে নিয়েই এক খুদে ক্রিকেটার এসেছিলেন নিজের প্রিয় ব্যাট, গ্লাভসসহ সরঞ্জাম কিনতে। সেখানে সেই ক্রিকেটভক্তকে দেখে নিজের ছেলেবেলায় ফিরে যায় দেবদূত, তাঁরও মনে পড়ে যায় এভাবেই বাবা-মায়ের হাত ধরে দোকানে ব্যাট কিনতে আসার কথা। এরপরই সেই ছোট্ট ক্রিকেটারকে যা যা ইচ্ছে, সবই কিনতে বলেন দেবদূত, আর জানান সব কিছুই তিনি কিনে দেবেন তাঁকে।
আরও পড়ুন-পিঠে খিঁচ মনে হচ্ছে না! বুমরাহর চোট নিয়ে ভারতীয় শিবিরের অন্দরের খবরে অবিশ্বাস পন্টিংয়ের
সেই ছোট্ট ক্রিকেটারের সঙ্গে একটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন দেবদূত। আর তাতে তিনি লিখেছেন, ‘আজকে এই ছোট্ট ছেলেটিকে দেখলাম মায়ের সঙ্গে ক্রিকেট স্টোরে এসেছে। বেশ উৎসাহের সঙ্গেই নতুন ব্যাট আর অন্য সরঞ্জাম দেখছিল। আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল, যখন আমরাও দোকানে আসতাম কতটা উৎসাহিত হতাম। ওকে আমি প্রস্তাব দিয়েছি, যা যা ক্রিকেট সরঞ্জাম ওর পছন্দ যেন ও কিনে নেয়, আমি ওকে তা উপহার দেব, যাতে ওর দিনটা স্পেশাল হয়ে যায়। খুবই আনন্দের বিষয়টা’।