পতৌদি ট্রফির নাম পরিবর্তন করে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের আগেই অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি করা হয়। ইসিবির তরফেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এরপর বিতর্কও কম হয়নি। স্বয়ং মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর ইসিবি এবং আইসিসি চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন, যাতে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদিকে এই সিরিজের সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত রাখা যায়। এরপরই পতৌদি পদকের কথা ঘোষণা করা হয়। ফলে বিতর্কে একটু জল পড়তে শুরু করেছিল, কিন্তু সুনীল গাভাসকর আবারও সেই বিতর্কে ঘি ঢাললেন।
১৯৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য সুনীল গাভাসকর কিছুতেই মানতে পারছেন না এই সিরিজের ট্রফির নামে জেমস অ্যান্ডারসনের নাম সচিন তেন্ডুলকরের আগে রাখা হয়েছে। তাঁর কথায়, টেস্টে জিমি এমন কিছুই করেননি যার জন্য অ্যান্ডারসনের আগে তাঁর নাম বসাতে হবে। মিড ডের হয়ে লেখা কলমে সানি বলছেন, ‘ইসিবির পূর্ণ অধিকার রয়েছে, তাঁরা সিরিজের নাম ঠিক করবে। তবে ভারতীয়দের কাছে এই সিরিজের নামটা একটু শ্রুতিকটু, যেখানে তেন্ডুলকরের নাম অ্যান্ডারসনের পরে বসছে। কারণ সচিন শুধু কপিল দেবের মতোই ভারতের শ্রেষ্ঠ ক্রিকেটারই নন, অ্যান্ডারসনের থেকেও প্রায় ১২ বছরের বড়। রান করা হোক বা শতরান, টেস্ট হোক বা একদিনের ফরম্যাট, সব জায়গাতেই সচিন নম্বর ওয়ান। সেখানে টেস্টে অ্যান্ডারসন তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক, তাই সচিনের আগে ওর নাম থাকাটা খুব একটা মানাচ্ছে না ’।
সানি আরও বলছেন, ‘সচিন তেন্ডুলকর কিন্তু বিশ্বকাপজয়ী দলেরও সদস্য, যেটা অ্যান্ডারসন নয়। ও খুবই ভালো বোলার ইংলিশ কন্ডিশনে, কিন্তু ওর রেকর্ড সচিনের ধারে কাছে নয়। তাই সব দিক চিন্তাভাবনা করেই সচিনের নাম আগে আসার কথা ছিল। ওরা যে বাজে যুক্তি দিচ্ছে যে অ্যান্ডারসনে এ তেন্ডুলকরের টি-এর আগে আসে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। কারণ ওদের মধ্যে কোনও তুলনাই হবে না। আমাকে ভুল বুঝো না কেউ, তবে ভারতীয় হিসেবে আমি চাইব সচিনের নাম অ্যান্ডারসনের আগে বসুক। তাই আমি ভারতীয় ক্রিকেটভক্ত এবং মিডিয়ার কাছে আর্জি জানাব এই সিরিজকে তেন্ডুলকর -অ্যান্ডারসন ট্রফি নামে ডাকার জন্য ’।
জয়ী অধিনায়ককে পতৌদি নামাঙ্কিত পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসিবি। সচিনের অনুরোধের পর এমনই আইডিয়া বের করেছে তাঁরা। যদিও সানির মতে, জয়ী অধিনায়ক নয় বরং ম্যান অফ দ্য ম্যাচকে এই পদক দেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলছেন, ‘তেন্ডুলকর-অ্যান্ডাররসন ট্রফির নাম ঘোষণার পরই জানানো হয় সিরিজের জয়ী অধিনায়ককে পতৌদি নামাঙ্কিত পদক দেওয়া হবে, কিন্তু সিরিজ ড্র হলে কি হবে? তাই পতৌদি মেডেল যদি প্রত্যেক টেস্টের সেরা খেলোয়াড়কে দেওয়া হত, সেটাই আরও ভালো হত। তাহলে পতৌদিকে প্রত্যেক ম্যাচেই স্মরণে রাখা যেত। সেটা সিরিজের শেষ ম্যাচ পর্যন্তই চলত ’।