একটা শতরান করলেই কি সব দোষ মাফ হয়ে যায়? হেডিংলে টেস্টের পর ভারতীয় ক্রিকেটভক্তদের মধ্যে এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। ভারতীয় দলের ওপেনার যশস্বী জসওয়াল প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই দুর্দান্ত শতরান করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও গত সিরিজে তিনি ভারতীয়দের মধ্যে যথেষ্ট সফল হয়েছিলেন। এই মূহূর্তে টিম ইন্ডিয়ার সেরা টেস্ট ব্যাটারদের মধ্যে অন্যতম যশস্বী।
কিন্তু তিনি মাঠে ফিল্ডিং করতে নেমে যে হারে ক্যাচ মিস করেছেন, তাতে তিনি শতরান করার থেকেও বেশি ক্ষতি করে দিয়েছেন নিজের দলের। যার সুযোগ পুরোদমে উসুল করে নিয়েছে টিম ইংল্যান্ড। স্লিপে দাঁড়িয়ে হোক বা ডিপ স্কোয়ার লেগে, পরপর পোপ, ডাকেটদের ক্যাচ ছেড়েছেন এই ব্যাটার।
তবে সব থেকে অবাক করার মতো বিষয় হল, ম্যাচে প্রায় ৫-৬টি ক্যাচ ছাড়ার পরও যশস্বীর মুখে ছিল হাসি। লজ্জা বা আক্ষেপের বিন্দুমাত্র লক্ষণ দেখা যায়নি। বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে ইংলিশ সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে যশস্বী হাসছিলেন, এমনকি একটা সময় তিনি একটু নাচও দেখান। নিজের দেশকে এভাবে ডোবানোর পর একজন ক্রিকেটার কীভাবে নাচতে পারে বা হাসতে পারে, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ।
বেন ডাকেটের ক্যাচটি মিস করার পরই যেভাবে যশস্বী ইংল্যান্ড সমর্থকদের সঙ্গে মিশে আনন্দ উৎসব করছিলেন, তা দেখে বোঝা যাচ্ছিল না যে তিনি আদৌ ভারতীয় দলের ক্রিকেটার না ইংল্যান্ডের। ডাকেট সেই ক্যাচ মিসের সুযোগ নিয়ে নিজের শতরান পূর্ণ করেন, এবং ইংল্যান্ডও সহজেই ৩৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে ফেলে জো রুট এবং জেমি স্মিথের ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ের সুবাদে।
প্রথম ইনিংসেও দুটি সহজ ক্যাচ মিস করেছিলেন যশস্বী, জাদেজাও ১টি ক্যাচ মিস করেন বুমরাহর বলে। নাহলে আরও কম রানে ইংল্যান্ডকে বেঁধে ফেলা সম্ভব হত। তবে ক্যাচ মিস ক্ষমা করে দেওয়া গেলেও, যেভাবে ভারতকে ডোবানোর পরও তিনি বিন্দুমাত্র লজ্জিত বোধ না করে হাসলেন, নাচলেন, তা দেখে হতবাক ক্রিকেটমহল।