হাতে আর একদম সময় নেই। রাত পোহালেই গ্রামবাংলা জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু এখনও থামছে না খুন। একদিকে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কর্মী খুন হন। অন্যদিকে বনগাঁয় খুন হলেন এক ব্যক্তি। এই ধারাবাহিক খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। আজ, শুক্রবার বনগাঁ থানার অন্তর্গত ধর্মপুর গ্রামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। আহত হয়েছেন আর এক ব্যক্তি। আর এই শুটআউট কাণ্ডের পর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে এলাকায়। তবে এই ব্যক্তি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে বোমা বিস্ফোরণে মুর্শিদাবাদে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মাঝরাতে মুর্শিদাবাদে বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে। সামশেরগঞ্জের বোবদাদনগর পঞ্চায়েতের জোৎকাশি গ্রামের গামবটতলা মোড়ের বাঁশবাগানে বোমা বাঁধছিল কয়েকজন যুবক। হঠাৎ সেই বোমা বিস্ফোরণে হলে উড়ে যায় একটি টালির বাড়ির অংশ। আর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাদ্দাম শেখ এবং এশরাফুল শেখ টিঙ্কার। বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কারণেই এই বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে বনগাঁয় গুলির শব্দে চমকে ওঠেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। কালোপুর খেদাই তলা রোডের পাশ থেকে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গুলি চলার শব্দ আর ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকা খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে হয়েছে। ওই ব্যক্তির পাশে পড়েছিল একটি মোটরবাইক। তার পাশে আর একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ওই ব্যক্তির নাম বিশ্বনাথ। হাবড়ায় থাকতেন তিনি। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির অনেকে যুক্ত আছে। তদন্ত করা হোক।’
আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত নিল সিবিআই, তুঙ্গে আলোড়ন
আর কী জানা যাচ্ছে? এছাড়া আজ মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এখানেই ইসলামপুরের রায়পুরে খুন হয়েছেন এক কংগ্রেস কর্মী বলে অভিযোগ। আজ, শুক্রবার দুষ্কৃতীরা রায়পুরের এক কংগ্রেস প্রার্থীর ভাই অরবিন্দ মণ্ডলের বাড়িতে চড়াও হয়। তারপর তাঁকে লাঠি, বাঁশ নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। বুকে লাথি মারা হয় বলেও অভিযোগ। তখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রক্তাক্ত গ্রামবাংলা।