পঞ্চায়েত ভোটের সংকল্পপত্র প্রকাশ করল বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল সহ তাবড় বিজেপি নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন এই কর্মসূচিতে।এদিনের অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, বিজেপির পক্ষ থেকে সংকল্পপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। মীরা পাণ্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার জন্য় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিলেন। সেই সময় মৃত্যুর সংখ্য়া কমানো সম্ভব হয়েছিল। তখন ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে শাখা সংগঠনের পরিণত করা হয়েছে। ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে। যথা সময়ে সর্বদলীয় মিটিংও হয়নি। নবান্নর ১৪ তলা পুরো ভোটকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ডিএম এসপিরা কমিশনকে রিপোর্ট করছেন না।এমন ভোট কোনওদিন দেখিনি। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলছেন, পঞ্চায়েতে একটা সিটও যদি তৃণমূল না পায় তবে সরকার থাকবে। বিজেপি আইনি লড়াই, পথের লড়াই, বুথের লড়াই সব করবে। আমরা এক ইঞ্চিও ছাড়ব না।সুকান্ত মজুমদার বলেন, মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বাংলার গণতন্ত্র ধর্ষিতা হচ্ছেন। বিজেপির গুঁতোয় তিনি পঞ্চায়েত ভোট প্রচারে নেমেছেন। বিজেপি আগামী দিনে ত্রিস্তরে পঞ্চায়েতে জিতবে। ৯টি পয়েন্টে আমরা এই সংকল্প পত্র এনেছি।১) চোরমুক্ত পঞ্চায়েত২) কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উপযুক্ত উপভোক্তারা যাতে সকলে পান তার ব্যবস্থা করবে। কোনও পক্ষপাত নয়।৩) আয়ের ভিত্তিতে জনগণনা হবে।৪) প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মাধ্য়মে রাস্তা সংস্কার।৫) জলজীবন মিশন প্রকল্প স্বচ্ছভাবে রূপায়িত হবে। কোনও লুঠপাট নয়। পানীয় জলের ব্যবস্থা হবে।৬) স্বচ্ছ টেন্ডার প্রক্রিয়া হবে সবস্তরে৭) কৃষকদের উন্নতির জন্য কাজ হবে। কৃষক সম্মান বিধির কাজ হবে।৮) বাণিজ্যিক ফসল কেন্দ্র তৈরি ও বৈচিত্রময় কৃষি ব্যবস্থার সূচনা করা হবে৯) বীরেন্দ্র শাসমলের নামে শাসমল কৃষি কেন্দ্র ও কৃষি ভিত্তিক ক্ষুদ্র শিল্প করা হবে।এরপর একে একে বিজেপি নেতৃত্ব শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করে তির ছোঁড়া শুরু করেন। সেই সঙ্গেই দুর্নীতির বিরুদ্ধেও তারা আওয়াজ তোলেন। মূলত দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার দাবিতে সওয়াল করেন তারা। তাদের দাবি গোটা রাজ্য দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা থেকে আগে দুর্নীতিকে দূর করতে হবে। .