গোটা গণনাকেন্দ্রে তপ্ত হয়ে ওঠে। উত্তর থেকে দক্ষিণ জোড়াফুল ঝড়ে বিরোধীরা বেসামাল। ৩৩৯টি ভোটগণনা কেন্দ্রে স্ট্রংরুমের সংখ্যা ৭৬৭। গণনাকক্ষের সংখ্যা ৩,৫৯৪। গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণা করবেন কাউন্টিং অফিসার। পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের ফল ঘোষণা করবেন বিডিও। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে একজন করে অফিসার আছেন।
বিধায়ক তাপস সাহা
গ্রামবাংলা কার? এই প্রশ্নের নিষ্পত্তি করতে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা। এই আবহে গণনার দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সক্রিয়তা সামনে এল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠির ঘায়ে ‘আহত’ হলেন তেহট্টের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস সাহা। লাঠির ঘা সরাসরি তাঁর পায়ে লাগায় চোট পেয়েছেন বিধায়ক বলে অভিযোগ। তখন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধায়কও। আর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক। যা নিয়ে তেহট্টে ধুন্ধুমার কাণ্ড শুরু হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার নানা গণনাকেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগণনা। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। রাজ্যের ২২টি জেলার গ্রামীণ মানুষজনের মতামত ব্যালট বাক্স থেকে বের করে গোনা হচ্ছে। সেগুলি ছিল ৭৬৭টি স্ট্রংরুমে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মোট ৩৩৯টি ভোট গণনাকেন্দ্রে সেই ব্যালট বাক্স খুলে গোনা শুরু হয়েছে।
এদিকে আজ, মঙ্গলবার তেহট্ট হাইস্কুলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা চলছিল। তখন সেখানে বিধায়ক তাপস সাহা তাঁর দলবল নিয়ে সেখানে পৌঁছন। এই আবহে একের পর এক জয়ের খবর আসতে শুরু করে। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীরা জয়ী হচ্ছে দেখে তাঁরা আনন্দে উৎসবে মেতে ওঠেন। এমনকী বিধায়ক–সহ অন্যান্য সদস্যরা গণনাকেন্দ্রের সামনে বিজয় উৎসব শুরু করেন। আর সেটাই যেন সহ্য করতে পারলেন না কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। গণনা কেন্দ্রগুলিতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ধারেকাছে কোনও জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেক কেন্দ্রে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ৩৩৯টি কেন্দ্রে গণনার প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, তার পর পঞ্চায়েত সমিতি এবং সব শেষে জেলা পরিষদের আসনে গণনা চলছে।
কেমন করে ঘটনাটি ঘটল? অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের এই বিজয় উৎসব দেখে বিজেপির সদস্যরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নালিশ করেন। তখন রে রে তেড়ে এসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান সেখানে এসে উৎসবে বাধা হয়ে দাঁড়ান। তখন প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন বিধায়ক তাপস সাহা। তখনই তাঁর উপর লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। আজ গণনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে ভোট গণনাকেন্দ্রে। গণনাকেন্দ্রে থাকছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। এক কোম্পানি আধাসেনা জওয়ানদের নিয়ে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলির পাহারায় মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠির ঘায়ে তাপসের পায়ে চোট লেগেছে। তবে কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী লাঠির ঘায়ে জখম হয়েছেন। এই নিয়ে গোটা গণনাকেন্দ্রের চত্ত্বর তপ্ত হয়ে ওঠে। উত্তর থেকে দক্ষিণ জোড়াফুল ঝড়ে বিরোধীরা বেসামাল। ৩৩৯টি ভোটগণনা কেন্দ্রে স্ট্রংরুমের সংখ্যা ৭৬৭। গণনাকক্ষের সংখ্যা ৩,৫৯৪। গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণা করবেন কাউন্টিং অফিসার। পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের ফল ঘোষণা করবেন বিডিও। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে একজন করে অফিসার আছেন।