সদ্যই হুগলির ভোট প্রচারের ফাঁকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছে ঘুগনির স্বাদে মন মজিয়ে নিতে। তিনি একা খাননি, সঙ্গে থাকা সমর্থকদের সঙ্গে মিলেমিশে ঘুগনি উপভোগ করেছেন। উল্লেখ্য, ভোটের প্রচারের ফাঁকে খাওয়া দাওয়ার ছবি প্রায়ই দেখা যায়। প্রচারে আসা কর্মী সমর্থকদের বহু প্রার্থীই খাইয়ে থাকেন। উল্লেখ্য, প্রচারপর্বে প্রার্থীকে অনেকের সঙ্গেই সাক্ষাৎ করতে হয়। তখনও চলে খাওয়া দাওয়ার পর্ব। তবে এই খাওয়া দাওয়া বাবদ খরচ যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী খরচের ঊর্ধ্বসীমা না লঙ্ঘন করে, সেদিকে তাকিয়ে রেট বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীরা এই চা-জলখাবারের জন্য সর্বাধিক কত টাকা খরচ করতে পারবেন, তার অঙ্ক বেঁধে দিয়েছে কমিশন।
এক একটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভেদে কমিশনের নির্ধারিত রেট আলাদা। পঞ্জাবের জলন্ধরে এক কাপ চা খাওয়াতে হলে প্রার্থী সর্বাধিক ১৫ টাকা খরচা করতে পারবেন। প্রচারে সিঙারা বা স্ন্যাকস খাওয়াতে গেলেও সিঙারা প্রতি সর্বাধিক ১৫ টাকা খরচা করতে পারবেন। আবার মধ্যপ্রদেশের মান্ডালাতে কোনও প্রার্থী প্রচারে যদি একই মেন্যু রাখেন, তাহলে এক কাপ চায়ে সর্বাধিক ৭ টাকা, আর সিঙারার সর্বাধিক ৭ টাকা খরচা করতে পারবেন তিনি। চেন্নাইয়ে চায়ের জন্য মাথা পিছপ খরচ ১৫ টাকা, কফির জন্য ২০ টাকা। এমনই রেট বেঁধে দিয়েছে কমিশন। উল্লেখ্য, ভোট মেটার পর প্রার্থীরা কমিশনের নির্ধারিত খরচের ঊর্ধসীমা লঙ্ঘন করেছেন কি না, তা মিলিয়ে দেখবে কমিশন।
লিস্ট এখানেই শেষ নয়। জলন্ধরে ছোলে-ভটুরে খাওয়াতে হলে মাথা পিছু ৪০ টাকার বেশি খরচ করা যাবে না।এবার আসা যাক, মাংসের জন্য খরচের কথায়। বহু প্রার্থীই প্রচারে সমর্থকদের বিরিয়ানি বা মুরগি-মটনও খাওয়ানোর প্ল্যানে থাকেন। প্রার্থীকে চিকেন খাওয়াতে হলে ২৫০ টাকা প্রতি কেজি, মটন খাওয়াতে হলে ৫০০ টাকা প্রতি কেজি সর্বাধিক খরচ করা যেতে পারে। চেন্নাইতে চিকেন বিরিয়ানির জন্য প্রার্থীরা মাথা পিছু ১৮০ টাকা খরচা করতে পারবেন। পরোটা প্রতি পিস ৩০ টাকা, পনির পকোড়া প্রতি পিস ২০ টাকা, গুলাব জামুন ১৫০ টাকা প্রতি কিলো, দাম বেঁধে দিয়েছে কমিশন।
আরও বিস্তারিতভাবে বললে, কমিশন বলছে, মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট কেন্দ্রোর প্রার্থী চায়ের জন্য সর্বাধিক ৫ টাকা, সিঙারার জন্য সর্বাধিক ১০ টাকা খরচা করতে পারবেন। বিভিন্ন রাজ্যে প্রচারে একজন প্রার্থী সর্বাধিক কত টাকা খরচা করতে পারবেন, তার তালিকায় কমিশন জানিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশে প্রার্থী প্রচারে সর্বাধিক ৯৫ লাখ টাকা খরচা করতে পারবেন। গোয়া, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিমে সর্বাধিক ৭৫ লাখ টাকা, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৭৫ থেকে ৯৫ লাখ টাকা সর্বাধিক খরচা করা যাবে। বলা হচ্ছে, মণিপুরে চা, সিঙারা, কচুরি গজার জন্য সর্বাধিক খরচ খাবারগুলির পদ পিছু ১০ টাকা করা যাবে। হাঁস ও শুয়োরের মাংস খাওয়াতে হলে সর্বাধিক ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা প্রতি কেজিতে খরচা করা যাবে।