রাজ্যে ষষ্ঠ দফার ভোটে ৮টি আসনের সবক’টি জিততে চলেছে বিজেপি। আর সেই হতাশা থেকেই ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। সাধারণ মানুষ ঠিক ভোট দেবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাংসদের দেহ ৮০ টুকরো করতে কত টাকা মিলেছিল? খুনের তদন্তে নয়া মোড়
পড়তে থাকুন: বনকর্মী খুনে ৩ বাংলাদেশি চোরাশিকারি গ্রেফতার, মধু-হরিণের জন্য জলসীমা লঙ্ঘন
দিলীপবাবু বলেন, ‘প্রার্থীকে আটকে ভোট আটকানো যায় না। বর্ধমানে তো আমার সঙ্গে গণ্ডগোল করার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু ভোট হয়েছে। এখানেও বুথের ভিতর ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিচ্ছেন ও পুরো ভোট হবে। তৃণমূল এখন হতাশ হয়ে গেছে। রাগে আমাদের প্রার্থীকে আটকানোর চেষ্টা করছে। এটা হতাশা, এটা নৈরাজ্য তৈরি করা। আর কিছু নয়। ভোট হচ্ছে, এবং পুরো হবে। কেশপুরের মতো জায়গা সব সময় উত্তেজনাপ্রবণ। গণ্ডগোল হয়। গত ভোটে ভারতী ঘোষকে ওখানে আটকানো হয়েছিল ও একতরফা ৯০ হাজার লিড নেওয়া হয়েছিল। এবারে সেটা হবে না। যাতে না হয়, হিরণ সেটা চেষ্টা করছে ওখানে। আমার মনে হয় ওখানেও ভোট ঠিকঠাক হবে।’
কেশপুরের ভোট নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘কেশপুরে কোনও দিন ভোট করতে দেওয়া হয় না। ওখানে গতবার আমরা এজেন্ট বসিয়েছিলাম। ভোট করিয়েছিলাম। এবার আরও শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। কিছু গুন্ডা বদমাশ আছে, তারা গণ্ডগোল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু মানুষ ভোট দেবে।’
এর পরই জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী শোনায় দিলীপবাবুকে। তিনি বলেন, ‘আগের দফাগুলোতে এতটা উত্তেজনা ছিল না। এই যে আজকে ৯টা আসনে ভোট হচ্ছে। ৯টাই আমরা জিতব। তৃণমূল হতাশ হয়ে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে। মানুষকে ভয় দেখালে কেন্দ্রীয় বাহিনীই ভরসা। সেজন্য সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। সাময়িকভাবে হয়তো ওরা বিঘ্ন করতে পারেন, কিন্তু সবাই ভোট দেবেন।’
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের জেরেই ছাত্রমৃত্যু ঘটে, কর্মসমিতির বৈঠকে শাস্তিতে সিলমোহর
ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণে রাজ্যের ৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে পুরুল্যা, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, কাঁথি, তমলুক, ঘাটাল, মেদিনীপুরে। বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর এসেছে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের আটকানোর চেষ্টা করেছে তৃণমূল।