আগামী ২০ জুন বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে আমির খান অভিনীত ছবি ‘সিতারে জমিন পর’। তবে মুক্তি পাওয়ার আগে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছে ছবিটি। সিনেমাটি শুধুমাত্র বড় পর্দায় মুক্তি পাবে, আগামী দিনে কোনও ডিজিটাল প্লাটফর্মে মুক্তি পাবে না ছবিটি, আমিরের এই সিদ্ধান্ত শুনে খুব স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দর্শকরা। যদিও আমিরের হয়ে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন।
সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে একটি আলাপচারিতায় আমির খান জানান, অমিতাভ বচ্চন আমিরের ছবি শুধু বড়পর্দায় মুক্তি পাওয়ার ব্যাপারটি নিয়ে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। প্রত্যেক সুপারস্টারদেরই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলেই মনে করেছেন অমিতাভ।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে ইউটিউবে দেখা যাবে ‘তারে জামিন পর’, ছবি মুক্তির আগে নতুন পন্থা আমিরের
আরও পড়ুন: সামনেই ‘বাৎসরিক’, তারাপীঠে পুজো দিয়ে পুরনো পথে নতুন যাত্রা শুরু শতাব্দীর
আমির বলেন, ‘ডিজিটাল প্লাটফর্মে ছবি মুক্তি নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। তবে একটি ছবি বড় পর্দায় মুক্তি পাওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই যখন ডিজিটাল প্লাটফর্মে মুক্তি পায়, তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই ছবিটির ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বড় পর্দায় মুক্তি পাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই ডিজিটাল প্লাটফর্মে ছবি মুক্তির বিষয়টি আমি কোনও যুক্তি খুঁজে পাই না।’
আমির আরও বলেন, ‘এই গোটা ব্যাপারটি নিয়ে অমিতাভ বচ্চন আমাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। হয়তো এটি কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু আগামী দিনে ভালো ব্যবসা করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন ছিল। আমার সিনেমা যদি কিছুদিনের মধ্যেই ডিজিটাল প্লাটফর্মে মুক্তি পায় তাহলে মানুষ কেন বড়পর্দায় ছবি দেখতে আসবে?’
আরও পড়ুন: গাড়ি চালাচ্ছেন, বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন, ক্যানসারমুক্ত মিঠু ছোট পর্দায় ফিরবেন কবে?
আরও পড়ুন: অরিন্দমের ছবিতে বড় চমক! অনিল বিশ্বাসের চরিত্রে নাকি অভিনয় করতে চলেছেন কুণাল ঘোষ
সবশেষে আমির বলেন, ‘আমি চাই দর্শকরা হলে গিয়ে আমার ছবি দেখে আসুক। আমি আমার দর্শকদের উপর বিশ্বাস রাখি, কোনও ক্ষোভ বা রাগ মনে না রেখেই ওঁরা ছবিটিকে ভালোবাসবেন, এটাই আমার বিশ্বাস।’
তবে দর্শকদের ওপর আমিরের যতই বিশ্বাস থাকুক না কেন, দর্শকরা যাতে ক্ষুন্ন না হন তার জন্য আগেভাগেই একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমির। নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে বিনামূল্যে ‘তারে জামিন পর’ ছবি দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন অভিনেতা। এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্রই দর্শকদের মন জেতার জন্যই বলে মনে করছেন নিন্দুকরা।