গত বছর সেলিব্রিটি ফটোগ্রাফার ডাব্বু রত্নানি প্রকাশ করেছিলেন যে বর্তমানে বিবাহিত বলিউড দম্পতি সাইফ আলি খান এবং কারিনা কাপুর ২০০৫ সালে একটি ম্যাগাজিনের কভার ফটোশুটের জন্য প্রথমবার দেখা করেছিলেন। এবার সিদ্ধার্থ কান্নানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডাব্বু জানিয়েছেন, ওই ফটোশুটের কারণে বেশ মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল সাইফের তৎকালীন বান্ধবী রোজা ক্যাটালানো।
'দুজনের দুর্দান্ত রসায়ন ছিল। সইফের তৎকালীন বান্ধবী খুব রেগে গিয়েছিলেন। শুটিংয়ের সময় সেখানেই ছিলেন রোজা। তিনি বলেন, ‘এটা কীসের শুটিং? কেন ওরা একসঙ্গে শুটিং করছে? এই মুহূর্তে তো দুজনের একসঙ্গে কোনও সিনেমাই হচ্ছে না। তাহলে এই শুট কেন করা হচ্ছে?’ এটি আসলে একটি ম্যাগাজিনের কভার শ্যুট ছিল। আমার মনে আছে, দুজনের রসায়ন দেখে বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি', সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ডাব্বু।
ডাব্বু আরও জানান যে, কয়েক বছর পরে যখন তাঁরা একত্রিত হয়েছিল তখন তিনি সাইফ এবং কারিনা কাপুরের ছবি বড় ফ্রেমে বাঁধিয়ে উপহার দিয়েছিলেন। তিনি তাদের মনে করিয়ে দেন, সেখান থেকেই সবকিছুর শুরু। মজার ব্যাপার হলো, ১৯৯৯ সালে সুরজ বরজাতিয়ার ফ্যামিলি ড্রামা ‘হাম সাথ-সাথ হ্যায়’ ছবিতে করিনার বড় বোন করিশ্মা কাপুরের নায়ক ছিলেন সাইফ। এরপর সইফ ও করিনা এলওসি: কার্গিল (২০০৩) এবং ওমকারা (২০০৬) ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
সাইফের ডেটিং ইতিহাস:
সইফ ১৯৯০ এর দশকে অভিনেতা অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে লিভ ইনে ছিলেন। এবং দুজনে হঠাৎই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কফি উইথ করণ সিজন ৮-এ সইফ জানিয়েছেন, বিয়ের একদিন পর সইফ তাঁর মা তথা বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরকে জানিয়েছিলেন গোটা ব্যাপারটা। সইফ ও অমৃতার দুই সন্তান, সারা ও ইব্রাহিম। ইব্রাহিমের বয়স যখন বছর চার, তখনই ডিভোর্স হয়ে যায় দুজনের।
আর এই ডিভোর্সের পরই জীবনে আসে রোজা ক্যাটালানো। তবে রোজা ছেড়ে চলে যান সইফকে। অভিযোগ ছিল, বিয়ে আর দুই বাচ্চার কথা গোপন রেখে সম্পর্কে জড়ান অভিনেতা। ২০০৬ সালে হয় বিচ্ছেদ। এই সুন্দরীর সঙ্গেও দীর্ঘসময় লিভ ইন ছিল সইফের। শ্যাডো (২০০৯), চামকু (২০০৮) এবং শৌর্য (২০০৮)-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রোজা।
রোজার সঙ্গে বিচ্ছেদের দুই বছর পর সইফ ২০০৮ সালে টশন সিনেমার সেটে কারিনার প্রেমে পড়েন। আর শুরু করেন ডেটিং। দীর্ঘসময় লিভ ইনও করেছিলেন তাঁরা। এবং অবশেষে ২০১২ সালে করে ফেলেন বিয়েটা। করিনার সঙ্গে সইফের দুই সন্তান, তৈমুর আর জেহ।