শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় পুজোর সময়টা কীভাবে উদযাপন করবেন? ছোটবেলাতেই বা কেমন ছিল অভিনেতার পুজোর দিনগুলো? সবটা নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে অকপট কথোপকথনে ধরা দিলেন অভিনেতা।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
বাংলার ছোট পর্দা দিয়ে কাজ শুরু করলেও বড় পর্দাতে তিনি দাপুটে অভিনেতা। তবে বেশ কিছু বছর হল তিনি কলকাতার গণ্ডি পেরিয়ে সর্বভারতীয় ছবির আঙ্গিনায় পা রেখেছেন। কিন্তু মুম্বইয়ের মায়াতে আটকা পড়েনি তিনি, তাঁর নিজের শহর কলকাতাতেও এখনও সমান তালে কাজ করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। এবার তিনি ‘শাস্ত্রী’ ছবির হাত ধরে আবার ফিরছেন বড় পর্দায়। এই ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ মুখ তিনি। তাই ছবি নিয়ে তাঁর তুমুল ব্যস্ততা। কিন্তু পুজোও যে আসছে, সেই সময়টা কীভাবে উদযাপন করবেন তিনি? ছোটবেলাতেই বা কেমন ছিল অভিনেতার পুজোর দিনগুলো? সবটা নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে অকপট কথোপকথনে ধরা দিলেন অভিনেতা।
ছবির নিয়ে বিরাট ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু সামনে পুজোও আসছে তা নিয়ে কী পরিকল্পনা অভিনেতার? প্রশ্নে, তিনি বলেন, 'গত ১২-১৫ বছর কলকাতার পুজোয় থাকি না। কারণ কলকাতা থেকেও তো ঠাকুর দেখতে বেরতে পারি না। তাই এই সময়টা পরিবারকে নিয়ে একটু ঘুরতে চলে যায়। কাজের মাঝে এই কটা দিনই তো ছুটি পাই ঘুরতে যাওয়ার জন্য। দেখি এবার কোথায় যাওয়া যায়। আর এখন কোনও পুজোর সঙ্গেও যুক্ত থাকি না। আর তাছাড়া পুজো নিয়ে আমার একটা ভয়াবহ অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তাই আরও থাকি না কলকাতায়।'
কী সেই অভিজ্ঞতা? জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'একটা সময় আমাদের নিজেদের পাড়ার পুজো হত। সেখানে বিল ছাপানো থেকে শুরু করে একদম বিসর্জন পর্যন্ত সবটাতে জড়িয়ে থাকতাম। কিন্তু এক বছর অষ্টমীর দিন বিকেলে আগুনে আমাদের প্যান্ডেল ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল, তারপর থেকে আমি কোনও পুজোর সঙ্গে খুব একটা আর যুক্ত থাকি না।'
ছোট বেলার পুজো নিয়ে নস্টালজিক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা ছোটবেলার পুজোটা মুখ মজার ছিল। যে পাড়ায় থাকতাম, সেখানে একটা পাড়া কালচার বলে ব্যাপার ছিল। পাড়ার ছেলেদের রক, চায়ের দোকান ছিল। সেখানে বসে কত জল্পনা-কল্পনা। সবটা নিয়ে সকলের সঙ্গে খুব মজা করে, আনন্দ করে সেই সময়ের পুজোর দিনগুলো কাটত।'
তবে পুজো নিয়ে তাঁর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সঙ্গে এবছর জুড়েছে কলকাতার উত্তাল পরিস্থিতিও। এর মধ্যেই আসছে তাঁর নতুন ছবি ‘শাস্ত্রী’। পুজোর ছবিতে কি ছেনা ছন্দে ধরা দেবেন দর্শকরা? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলে অভিনেতার সাফ জবাব, 'শুধু কলকাতা নয়, আমরা গোটা বিশ্বের দিকে যদি তাকাই, দেখতে পাব সর্বত্রই উত্তাল পরিস্থিতি। বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ হচ্ছে, সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে জীবনে আনন্দ খুঁজে নেওয়াটা খুব জরুরী। যদি আমরা সবাই দুঃখকেই আঁকড়ে ধরতে শুরু করি, তাহলে কিন্তু মাস লেভেলে ডিপ্রেশনে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা তো কখনওই কাম্য নয়। যে কোনও অন্যায় হলে সেটার প্রতিবাদ করতে হবে, প্রতিবাদ জানিয়ে যেতে হবে। আইনও আইনের মতো কাজ করবে। কিন্তু তাতে জীবন থেমে থাকবে না। সেটা চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে।'