রোহিত শর্মার অবসর ঘোষণার পর এবার বিরাট কোহলি। সদ্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন বিরাট। নাহ, এবিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনুরোধও রাখতে রাজি হননি তিনি। কোহলিকে অনুরোধ করা হয় এখনই টেস্ট ক্রিকেট না ছাড়তে। কিন্তু কোহলি শেষ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকলেন। ঘটনাচক্রে তিনিও রোহিতের মতো বিদায়ী টেস্ট খেলার সুযোগ পাবেন না।
এদিকে আচমকা বিরাটের এমন সিদ্ধান্তে মন খারাপ অনুরাগীদের। টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরাটের এই অবসর ঘোষণা নিয়ে মুখ খুলেছেন বাংলার অভিনয় দুনিয়ার বহু তারকা।
ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়
খুবই খারাপ লাগছে। তবে একটা সময় পরে অবসর তো নিতেই হয়। খেলোয়াড়দের সকলেরই সেলফ লাইফ থাকে। সারাজীবন খেলা যায় না। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অনেকেই আগে অবসর নেন। তবে বিরাটের যাঁরা অনুরাগী, তাঁদের তো ভীষণই মন খারাপ হবে। এর মধ্যে অবশ্যই আমিও পড়ি। খুব মিস করব, ওর স্পিরিটটা মিস করব। ও থাকলে মনে হত, এই টেস্টটা জিতবই, কারণ বিরাট আছে। সেই জায়গাটাতে ওর অভাববোধ করব।
কিছুদিন আগে লন্ডন গিয়েছিলাম, ওখানেও দেখলাম বিরাটকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, কয়েকজন বলালি করছিলেন, আজ ওই মলে বিরাটকে দেখলাম, মাস্ক পরে ঘুরছে। তাই শুধু এদেশে নয়, ওঁর গোটা বিশ্বজুড়ে সমস্ত অনুরাগীরাই এই খবরে হতাশ হবেন।
অনন্যা চট্টোপাধ্যায়
ওর নিশ্চয় মনে হয়েছে, এই ফর্মে থাকতে থাকতেই অবসর নেওয়া উচিত। সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হয়ত। আমি বিরাটের এমন সিদ্ধান্তে সাধুবাদই জানাচ্ছি। তবে ফ্যান হিসাবে ওঁর খেলা তো মিস করবই। বিরাটের স্ট্রোক দেখতে খুব ভালো লাগত।
খরাজ মুখোপাধ্যায়
ও তাই! খুবই খারাপ খবর। ভালো খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দেখার জন্যই সকলে অপেক্ষা করে থাকেন। বিরাট কোহলি এত বড় একজন খেলোয়াড়, উনি খেলতে নামলে প্রত্যেকেই ওকে নিয়ে অনেক আশা করে থাকেন। উনি তো শুধু আর নেহাতই একজন ক্রিকেটার নন, বিরাট একজন হিরো। সেখানে হতে পারে ওঁর শারীরিক কারণে, বয়সজনিত কারণে কিংবা হয়ত কনফিডেন্সের অভাবে এছাড়াও অন্য কারণও থাকতে পারে, যে জন্য উনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে যাচ্ছেন। তবে একটা বিষয় ভালো লাগছে, একজন ক্রিকেটার সৎ ভাবে, সঠিক সময়ে সরে গেলেন। অনেকেই এমন আছেন, যাঁদের ক্ষমতা নেই, দেশের নাম ডোবাব, তবু গদি ধরে বসে থাকেন। বিরাট সেটা করলেন না, এটা কিন্তু প্রশংসনীয়। তবে অনুরাগী হিসাবে আমাদের তো খারাপ লাগবেই।
দর্শনা বণিক
আমি তো বিরাটের অনেক বড় ফ্যান। খুবই খারাপ খবর এটা। আগের দিন একটা বন্ধুর সঙ্গে কথা হচ্ছিল যে রোহিত শর্মাও অবসর নিয়েছে, আর এবার বিরাটও অবসর নেবে (তখনও নেয়নি)। এই যে আমাদের প্রজন্মের পছন্দের এই ক্রিকেটাররা এক এক করে অবসর নিচ্ছেন, খুবই খারাপ লাগছে। আর এখন শেষপর্যন্ত উনি অবসর নিয়েই ফেললেন, তাই আর কী বলব, সত্যি বলতে কি ভীষণ খারাপ লাগছে। বিরাট একজন অনুপ্রেরণা। তবে হ্য়াঁ, এটাই আবার বাস্তব, সকলেরই ধীরে ধীরে বিদায় নেওয়ার সময় হয়।
তবে সবথেকে বড় কথা, সচিন, সৌরভ, ধোনির পর বিরাট- ভারতীয় ক্রিকেটে একজন ট্রেন্ড সেটার। ওঁর অনুরাগীদের কাছে আজকের দিনটা একটা খারাপ দিন বলা চলে।
বনি সেনগুপ্ত
এটা তো মন খারাপেরই খবর। আমি তো ক্রিকেট ভালোবাসি। সেলিব্রিটি লিগে এখন আমিও খেলছি, তাই খেলাটাকে বেশ কাছ থেকেই এখন উপভোগ করছি। আর বিরাট আমাদের প্রজন্মের তারকা ক্রিকেটার। এখন যখন দেখছি, রোহিত শর্মা সরে গেলেন টেস্ট থেকে, আর এবার বিরাট। আর সামনেই ইংল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ আসছে, তাই এই কিংবদন্তিরাই যদি আসতে আসতে বেরিয়ে যায়, এরপর কবে এমন একজন কিংবদন্তি পাব, তার জন্য জানি না কতদিন অপেক্ষা করে থাকতে হবে। তাই সত্যিই এই খবরটা হার্ট ব্রেকিং, আপসেট করে দেওয়ার মতোই একটা খবর।
মধুমিতা সরকার
অবশ্যই খুব মিস করব বিরাটকে। বিরাটকে ভারতীয় ক্রিকেটের একজন কিংবদন্তি বললে বোধহয় ভুল হয় না। উনি ভারতীয় ক্রিকেটকে একটা অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন। বিরাটকে ক্রিকেটের একজন ট্রেন্ড সেটার বলতে পারি। ওঁর খেলার স্টাইল থেকে শুরু করে সবকিছুই আমার ভীষণ প্রিয়। তবে শুধু আমি নয়, আমার মনে হয়, ৮-৮০ দেশের সমস্ত অনুরাগীই টেস্ট ক্রিকেটে বিরাটকে মিস করবেন।