বাংলা গানের নক্ষত্র তিনি। যেমন সুমধুর গলা, তেমনই মিষ্টি দেখতে তিনি। একাধিক উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। বড় হয়েছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেশে। যদিও এই গায়িকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। তাঁর প্রথম বিয়ে, ডিভোর্স, সন্তান প্রায়ই উঠে আসে সংবাদের শিরোনামে। পুরনো ছবি দেখে চিনতে পারলেন?
তিনি আর কেউ নন, সাহানা বাজপেয়ী। ইনস্টাগ্রামে একটি পুরনো ছবি শেয়ার করে সাহানা লিখলেন, ‘তখন আমি নবম শ্রেণী। তখন আমি শাড়ি...’! একঝলকে অবশ্য চেনাই দায়। সাহানা বাজপেয়ী রবীন্দ্র ভারতীর ছাত্রী। রবীন্দ্র সঙ্গীত তাঁর গলায় আলাদা মাধুর্য পায় বরাবরই। এখন অবশ্য সংসার পেতেছেন তিনি লন্ডনে। ২য় বিয়ে করেন লন্ডন নিবাসী রিচার্ড হ্যারেটকে। এই বিয়ে থেকে একটি কন্যা সন্তানেরও জন্ম দিয়েছেন তিনি। তবে গানের সূত্রে দেশে যাতায়াত লেগেই থাকে। সৃজিত মুখোপাধ্যায় হোক বা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, বহু হিট বাংলা ছবি এখনও অসম্পূর্ণ তাঁর গান ছাড়া।
সাহানা বাজপেয়ীর প্রথম স্বামী ছিলেন বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পী শায়ান চৌধুরী অর্ণব। দুজনে শান্তিনিকেতনের পাঠভবনে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছিলেন, তারপর ২০০১ সালে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের সাত বছর পর ২০০৮ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে।
একসময় ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চলা চর্চা বন্ধ করতে, লম্বা পোস্ট করেছিলেন সাহানা সোশ্যল মিডিয়াতে। ২০২২ সাল নাগাদ বিরক্ত গয়িকা লেখেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরেই, বলা ভাল, ১৫ বছর ধরে অনলাইনে আমায় অনেকেই বিরক্ত করে আসছেন, তাঁদের অনেককেই আমি চিনি না, তাদের কারোর কোনও ক্ষতি আমি করিনি, নিজেকে উজার করে তাঁদের জন্য শুধু গান গেয়েছি আমি। সবার কাছে আমার অনুরোধ, আর এরকম করবেন না। আমার একটি পরিবার আছে, ১০ বছরের একটি মেয়ের মা আমি। একজনের জীবনে কী হয়, সেটা কখনও আরেকজন মানুষ বুঝতে পারেন না। দয়া করে আমরা পরস্পরের প্রতি একটু সম্মান দেখাই। বহু বছর আগের ফেলে আসা একটা অতীতকে শান্তির, সম্প্রীতির ঘুম ঘুমোতে দিই? আমি যদি পারি, আপনারাও পারবেন।’