‘সব অভয়ার বিচার চাই। আরজি কর পরিবারের পাশে চলচ্চিত্র পরিবার।’ একথা জানিয়ে গতকালই (শনিবার, ১৭ অগস্ট) সিনেমা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীবন্ধুদের মিছিলে যোগদানের আহ্বান করা হয়েছিল। কথা ছিল, রবিবার বিকেল ৪টের সময় টেকনিশিয়ান্স স্টুডিয়ো থেকে শুরু করে আরজি কর হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছবে শিল্পীদের এই মিছিল।
কথা মতোই এদিন বিকেলে টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োর সামনে জড়ো হন টলিপাড়ার তারকারা। তা শেষপর্যন্ত কে কে ছিলেন এই মিছিলে?
এদিন মিছিলে অভিনেত্রী পাওলি দাম থেকে শুরু করে পরিচালক অরিন্দম শীল, অভিনেতা জিতু কমল, আবির চট্টোপাধ্যায়, রাজ-শুভশ্রী, অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা, সৌরসেনী মৈত্র, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, রেশমি সেন, ঋত্বিক চক্রবর্তী, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্য়োপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, শান্তিলাল চট্টোপাধ্যায় সহ প্রায় টলিপাড়ার বেশিরভাগ সেলেবকেই এই প্রতিবাদী মিছিলে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল। ছিলেন টেলিভিশন তারকারাও।


এদিকে এদিন আচমকাই মৃত্যু হয় পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের মায়ের। তারপরও মায়ের শেষকৃত্য সেরে প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন কৌশিক-চূ্র্ণী, সঙ্গে ছিলেন তাঁদের ছেলে উজান গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিকে ইতিমধ্যেই আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদে টলিপাড়ার যে শিল্পীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও কে রাজনৈতিক নাকি অরাজনৈতিক তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। পরমব্রত নাকি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ, এমন অক্রমণের মুখেও পড়তে হয়েছে অভিনেতাকে। তবে এই পরিস্থিতিতে কী বলছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়?
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে পরমব্রত বলনে, মাননীয়া দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। ওঁর দলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ অনুযোগ থাকলেও, ওঁর সার্বিক কাজের জন্যে, মানুষ ওঁকে এবং ওঁর দলকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু এইরকম একটা জরুরি ও স্পর্শকাতর সময়ে প্রত্যুত্তরে উনি কী করলেন? লক্ষ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ কেবলই বিরোধীদের চক্রান্ত বা রাম-বাম নেক্সাস বললেন। আমার প্রশ্ন, আর জি করে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা হল কেন? আর সেটিকে আবার বিরোধীদের কাজ বলে চালানোর কী অর্থ?
এছাড়াও রাতে একটা সরকারি হাসপাতালে এধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে? সিভিক পুলিশকর্মী যদি সত্য়িই দোষী হন, তাহলে উনি ভিতরে কী করছিলেন? অস্বাভাবিক মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলা হল কেন? অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে কেন শাস্তিমূলক নির্বাসনে না পাঠিয়ে অন্য একটা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হল? এমন বহু প্রশ্ন তুলেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।