মুখ্যমন্ত্রীর নাম ধরে পোস্ট এবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বিরাগভাজন হলেন অরিত্র দত্ত বণিক। সরসারি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অরিত্রকে উদ্দেশ্যে করে লম্বা পোস্ট করলেন কুণাল ঘোষ। কী লিখেছেন তিনি?
‘প্রতি: অরিত্র দত্ত বণিক।’ এই শিরোনামে কুণাল ঘোষ লেখেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকবে, চটকদারি মন্তব্য করবে, বিতর্কে ভেসে থাকবে, স্পর্শকাতর ইস্যুতে ঢুকবে; লাইক, সমর্থন দেখবে; আর সমালোচনা, ব্যক্তিগত আক্রমণ হবে না, এটা ভাবলে কী করে? কিছু মানুষ গঠনমূলক বিরোধিতা করেন। কিছু জানোয়ার অশালীন কথা বলে। এদের আমি খা... ছেলে, বোকা... বলি। উড়িয়ে দিই। যুক্তিতে না পারলে আমাকেও বাবা মা তুলে এই খা.. ছেলেরা কমেন্ট করে।
কিন্তু কে কী বলল, তার জন্য তুমি মুখ্যমন্ত্রীর নাম ধরে ওইসব লিখবে? তাহলে আমাকে বিজেপি বা সিপিএম সমর্থক কেউ লিখলে আমি তাদের নেতাদের নাম ধরে এসব লিখব? তুমি যেটা লিখেছো, অপরিণত কাজ, গর্হিত অন্যায়।'
কুণাল ফের লেখেন, ‘তোমার কিছু আইনি পোস্ট পড়ার মত, কিছু রসিকতা চমৎকার। সমালোচনার অধিকার তোমার বা সকলের আছে। কিন্তু তোমার সাম্প্রতিক কিছু পোস্ট তালজ্ঞানহীন। মুখ্যমন্ত্রীকে নাম ধরে ডাকা; নাম আর পদবী ধরে সম্বোধনের তফাৎ গুলিয়ে ফেলা, এসব স্বাভাবিক নয়। কে কুৎসিত কমেন্ট করল, আর তুমি মুখ্যমন্ত্রীকে ওই ধরণের কথা লিখে বসলে, এটা তোমার অল্প বয়সে গুরুতর ইস্যুতে ঢুকে চাপ না নিতে পারার পরিচায়ক। তারপরেও দেখছি তুমি অকারণ তর্ক করে যাচ্ছ। এই মুখ্যমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে যে ভাবে, ছবিতে, ভাষায় আক্রমণ হয়, সেটা নজরে পড়ে না? তোমার ক্ষেত্রে আপত্তি থাকলে পুলিশে অভিযোগ করো। তার বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে ওইসব লিখলে তোমার সস্তা প্রচার হতে পারে, কিন্তু মানানসই নয়। ওই নির্দিষ্ট কথাগুলো থেকে সরে এসে তর্ক এড়ানো উচিত। এই অপরিণত মানসিকতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকাটা শরীর, মনের পক্ষেও ভালো নয়।’

সব শেষে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘তোমাকে শিশুশিল্পী হিসেবে সফল মনে করি। কিন্তু শিশুনেতা হিসেবে এগোনর পথে অসংযত, অবিবেচক, অপরিণত এবং অন্যায় কাজ করে ফেলেছো। তোমার সঙ্গে দেখা হয় না। দেখা হলেও এটাই বোঝাতাম। তুমি এত ছোট যে এর চেয়ে কড়া ভাষায় পরামর্শ দিতে পারলাম না। তোমার আইনি যে পোস্টগুলো পড়ার মত, অভিমুখ ঠিক রাখো। তার বাইরে রাজনৈতিক প্রচারের পথে চোরাবালি প্রবল। অপরিণত মন্তব্য করে সমালোচিত হওয়া ঠিক নয়। সম্ভব হলে, ওই লাইনগুলো থেকে সরে যাও। ডিলিট করো। সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকতে হলে ধৈর্য, সহিষ্ণুতা, উপেক্ষার কৌশল রপ্ত করা দরকার। কে কী বলল, আর তুমি মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি দিয়ে বসলে, এসব বালখিল্যপনা চলে না।’