বড়দিনের বক্স অফিসের খেলা জমে গেছে! প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে লক্ষ যোজন এগিয়ে সুপারস্টার দেব। হল পাওয়া নিয়ে শুরুতে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও তিন দিনে বক্স অফিসে ৩ কোটির গণ্ডি পার করেছে দেবের ছবি। হল সংখ্যার নিরিখে হোক বা প্রচার কিংবা বাজেট সবতেই এগিয়ে দেব। কর্মাশিয়্যাল ছবিতে দেবের কামব্যাক এককথায় সুপারডুপার হিট। কিন্তু এই হইচইয়ের মাঝেও বিতর্কের শেষ নেই। অভিযোগ ঋত্বিক অকারণে দেবকে কটাক্ষ করেছেন, তাঁর ভক্তদের অপমান করার আছিলায়। সেই নিয়ে দ্বিধা ভক্ত ইন্ডস্ট্রি। দেবের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিরসা। এবার এই নিয়ে সরব হলেন লগ্নজিতা।
খাদানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজ-শুভশ্রীর ‘সন্তান’। অথচ এসভিএফ প্রযোজিত এই ছবিতও দক্ষিণ কলকাতার কোনও সিঙ্গল স্ক্রিনে ঠাঁই পায়নি। মিঠুন চক্রবর্তী, ঋত্বিক চক্রবর্তী এবং শুভশ্রী অভিনীত ছবি দেখে দর্শকদের চোখ ভিজলেও, ব্যবসার নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে তাঁরা, বলা যায় খাদানের জেরে প্রভাবিত হচ্ছে ব্য়বসা। সেই নিয়ে নাম না করেই দেব-ভক্তদের দিকে তোপ দাগেন ঋত্বিক। সেই নিয়ে হইচই-কাণ্ড। ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমি দেবদার ভক্ত’, দেব-ভক্তদের এই স্লোগানকে কটাক্ষ করেই ঋত্বিক লেখেন, 'সোশ্যাল ডিলেমায় দেখিয়েছিল কিছু ছিঁচকে কিস্যু না বুঝে সিনেমা বাণিজ্য কমার্স নিয়ে নিজদের গ্যাদগ্যাদে জ্ঞান বিলিয়ে দেবে অকাতরে আর কত সহজেই প্রমাণ করবে শিরায় শিরায় রক্ত মাথায় কিন্তু গত্ত!’
এই পোস্টের জেরে দেব ভক্তরা ঋত্বিককে গালিগালাজ করতেও ছাড়েননি। এর আগে পরোক্ষে খাদানের অতিমাত্রায় প্রচার নিয়ে মন্তব্য করে ট্রোলড হয়েছেন রাজ চক্রবর্তী। ছাড় পাননি মানসী সিনহাও। এইসব দেখে হতবাক লগ্নজিতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘আমি যখন ট্রোলড হই, আমার মা-বাবা খুব চিন্তিত থাকে পড়েন। এই ধরনের ভাষা,জনসমক্ষে বলা হচ্ছে এই বিষয়টর সাথে তো ওঁনাদের জেনারেশন খুব একটা অভ্যস্ত নন। প্লাস ওঁনাদের জেনারেশনে এই ট্রোলিং কনসেপ্টটা ছিল না।’
গায়িকার কথায়, 'মা বাবার অনুরোধে আমি অনেক সময় অনেক পোস্ট নামিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছি। নামিয়ে নিয়েছি বলে আবার ট্রোলড হয়েছি। কিন্তু ৪টে বাংলা ছবি, যেগুলো এখন চলছে…..এই নিয়ে মানুষ যেভাবে ট্রোল করছেন, তা এক কথায় অভূতপূর্ব। কাউকে ছাড় দেওয়ার ব্যাপার নেই। দেবদা, ঋত্বিকদা, মানসীদি, রাজদা, যিশুদা, অনির্বাণদা। কাউকে কোনও ছাড় দেওয়ার ব্যাপার নেই, মানুষ যাকে যা পারছেন বলে যাচ্ছেন। এটা কোন পৃথিবী, এটা কোন বাংলা? এটাই আমাকে সংস্কৃতি? বয়েস দেখব না, অভিজ্ঞতা দেখব না। তাদের পরিশ্রম দেখব না, শুধু গালাগালি?
সমালোচনা করার মধ্যে আর গালি দেওয়ার মধ্যে একটা সূক্ষ তফাৎ আছে। সেটা আমরা ভুলে গেছি।' লগ্নজিতার এই পোস্টের কমেন্ট বক্সেও উপচে পড়ছে মন্তব্য। অনুরাগীরা সচেতন করে তাঁকে বলেন, এই পোস্টের জন্যও ট্রোল হবে। কেউ লেখেন, ‘গান গাওয়ায় মন দিন, ফুটেজ খেতে এই সব লিখবেন না’।