DELHI : শুভক্ষণ আগামী ১২ জুলাই, ওইদিন ছোটবেলার বন্ধু রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন মুকেশ-নীতা আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানি। তবে ছেলের বিয়ে দেওয়ার আগে একাধিক পুরুষ-নারীর বিয়ে দিলেন মুকেশ ও নীতা আম্বানি। ছেলে-বউমা, মেয়ে-জামাই সকলকে পাশে নিয়ে গণ-বিবাহের আয়োজন করল আম্বানিরা।
মঙ্গলবার রিলায়েন্স কর্পোরেট পার্কে গণ-বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন আম্বানিরা। মূলত দুঃস্থ পরিবার, যাঁদের বিয়ে হচ্ছে না, এমন প্রায় ৫০ জন নারী-পুুরুষদের জন্যই এই গণ-বিবাহের আয়োজন করেন আম্বানিরা। সেই অনুষ্ঠানে হাত জোড় করে ঢুকতে দেখা যায় মুকেশ-নীতা আম্বানিকে। এদিন নীতা আম্বানি পরেছিলেন সোনার গয়না, উজ্জ্বল লাল সিল্কের শাড়ি, ম্যাচিং ব্লাউজ সঙ্গে ছিল একটা লাল ব্যাগ। এই পোশাকে নীতা আম্বানিকে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছিল। কানে পরেছিল সোনার ছোট ঝুমকো, গলায় সোনার নেকলেস। আর মুকেশ আম্বানির পরনে ছিল সাদা শার্ট ও কালো ট্রাউজার।
এদিন বহু বর-বধূর কাছে গিয়ে হাসিমুখে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে, শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেল। কখনও আবার কোনও নববধূর হাত ধরে হাসি মুখে কথা বললেন নীতা। আবার কোনও কোনও দম্পতি নীতার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন। আম্বানি পরিবারের এই নমনীয়তায় মুগ্ধ নেটনাগরিকরা।
এদিন গণ-বিবাহ অনুষ্ঠান শেষে নব-দম্পতিদের আশীর্বাদ হিসাবে আর্থিক সাহায্যও দেন নীতা। ANI সূত্রে খবর প্রত্যেক দম্পতিকে মঙ্গলসূত্র, বিয়ের আংটি এবং নাকছাবি সহ সোনার গয়না এবং পায়ের আংটি এবং পায়ের পাতার মতো রূপোর অলঙ্কার উপহার দিয়েছেন আম্বানিরা। এছাড়াও প্রত্যেক কনে 'স্ত্রীধান' হিসাবে ১ লক্ষ১ টাকার চেক নিজের হাতে তুলে দেন নীতা আম্বানি।


এদিন বাবা-মা মুকেশ ও নীতা আম্বানির পাশে ছিলেন তাঁদের ছেলে আকাশ আম্বানি, বউমা শ্লোকা আম্বানি, মেয়ে ইশা আম্বানি জামাই আনন্দ পিরামল। এদিন ইশাকে দেখা গেল সরষে হলুদ রঙের জর্জেট শারারা সেটে। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে খোলা চুল, ম্যাচিং কানের দুল আর লাল ছোট্ট টিপে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছিল ইশাকে। আর আম্বানিদের জামাই আনন্দ পিরামল পরেন আইভরি রঙের সাদা কুর্তা এবং ম্যাচিং ট্রাউজার এবং কালারফুল ওয়েস্টকোট।
তবে আপাত দৃষ্টিত ঈশা আম্বানির জর্জেট শারারা ড্রেসটি ছিমছাম মনে হলেও এর দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে। তথ্য বলছে এটির দাম ডিজাইনার হরপ্রীতের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই পোশাকের দাম ১১০০০০ টাকা।

এদিন ঘাঘরাতে আম্বানিদের বড় বউমা শ্লোকাকেও বেশ সু্ন্দর দেখাচ্ছিল। সেই ঘাঘরায় ছিল বহু রঙের থ্রেডওয়ার্কে। সঙ্গে জরির কাজ এবং আয়না বসানো আইভরি সাদা সিল্কের ট্রাডিশনাল দুপট্টা। আর আকাশ আম্বানি পরেছিলেন সাদা শার্ট, আর কালো ট্রাউজার।

অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের প্রেমের গল্প সিনেমার গল্পের মতোই স্বপ্নময়। জানা যায়, অনন্ত ও রাধিকা ছোটবেলার বন্ধু, পরে সেই বন্ধুত্ব প্রেমে বদলে যায়। এই ২০১৮ সালে প্রথম একসঙ্গে ছবি পোস্ট করে তাঁদের সম্পর্কের কথা ঘোষণা করেন অনন্ত-রাধিকা। আগামী ১২ জুলাই সেই প্রেমই পরিণতি পেতে চলেছে।