Poushmita: স্বামীর মৃত্যুশোক বুকে চেপে ২ দিনেই শ্যুটিংয়ে ফিরলেন পৌষমিতা, 'নাহলে পরপারে বকুনি দেবে’ বলছেন রাইয়ের মা

দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীর ঠিক আগেই স্বামীহারা অভিনেত্রী পৌষমিতা গোস্বামী। যাঁকে এই মুহূর্তে মিঠিঝোরা ধারাবাহিকে রাই,নীলুর মায়ের চরিত্রে দেখছে দর্শক। পর্দায় কিছুদিন আগেই স্বামীকে হারান নন্দিনী (পৌষমিতার চরিত্র), কে জানতো সপ্তাহখানেকের মধ্যেই রিল আর রিয়েল এভাবে মিলে যাবে! আরও পড়ুন-‘শব্দ হারালাম..’, মাত্র ২ বছর আগে বিয়ে! স্বামীকে হারালেন ‘মিঠিঝোরা’র নন্দিনী, শোকে কাতর টেলিপাড়ানারীর মনের গোপন কথা বলা কলম থামল ৭৭-এ, অমৃতলোকে পাড়ি দিলেন কবি দেবরাতি মিত্রগত বুধবার রাতে (১০ জানুয়ারি,২০২৪) অকালেই চলে গিয়েছেন পৌষমিতার স্বামী অর্ণব রায়। টেলিপাড়র অতি পরিচিত মুখ ছিলেন অর্ণব। দীর্ঘদিন অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেনমেন্টেরে কার্যনির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মাত্র ৪০ বছর বয়সেই হৃদরোগে সব শেষ! স্বামী চলে গিয়েছেন, ভেঙে পড়েছেন পৌষমিতা। কিন্তু বাইরে থেকে নিজেকে শক্ত রেখেছেন অভিনেত্রী। শনিবার থেকেই কাজে ফিরলেন পৌষমিতা। এই ব্যাপারে টিভি নাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার আর অর্ণবের মধ্যে একটা সোল-কানেক্ট আছে। অনেক আগে চলে গেল আমাকে ছেড়ে। এটা চলে যাওয়ার বয়স না। কিন্তু আমাদের মধ্যে একটা আত্মিক যোগ আছে আগেই বললাম। আমি জানি ওর সঙ্গে আমার আবারও দেখা হবে।' পরপারে ফের স্বামীর সঙ্গে দেখা হবে বিশ্বাস পৌষমিতার। বললেন, ‘সেদিন আমরা আবার একসঙ্গে থাকব।’ কাজ পাগল মানুষ ছিলেন অর্ণব নিজে। সেই কারণেই কাজে ফিরেছেন পৌষমিতা। জানালেন, ‘কাজেও জয়েন করেছি। কারণ, অর্ণব চাইত কাজ নিয়ে থাকতে। আমাদের একটা প্রযোজনা সংস্থাও ছিল। সেই কাজটা আমাকে একাকেই করতে হবে। না হলে পরপারে বকুনি খাব।’২০২১ সালে আইনি বিয়ে সেরেছিলেন অর্ণব-পৌষমিতা। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে ধুমধাম করে সাত পাক ঘোরেন। বাঘ বন্দি খেলা, ওগো নিরুপমা, সাঁঝের বাতি, শ্রীময়ী. রিমলির একাধিক ধারাবাহিকে দেখা মিলেছে পৌষমিতার। জানা যায়, সাঁঝের বাতি' ধারাবাহিকের সুবাদেই আলাপ হয় দুজনের। সেখান থেকেই শুরু এই প্রেমের গল্প। ভালোবেসে পরস্পরের হাতও ধরেছিলেন তাঁরা, কিন্তু দীর্ঘ হল না পথচলা।কলকাতার ছেলে অর্ণব, পড়াশোনা করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দীর্ঘসময় ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। যুক্ত থেকেছেন ‘বকুল কথা’ থেকে ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, থেকে সদ্য শেষ হওয়া ‘তুঁতে’র মতো প্রোজেক্টের সঙ্গে। তাঁর মৃত্যু এখনও মেনে নিতে পারছেন না টেলিপাড়া। শোকস্তব্ধ তাঁর প্রিয়জনেরা।