1 মিনিটে পড়ুন Updated: 13 Feb 2024, 10:45 PM ISTSubhasmita Kanji
Sabitri Chatterjee: সরস্বতী পুজো মানেই বাঙালিদের কাছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে। এবার নাহয় ঘটনাচক্রে দুটো বিষয়ই একই দিনে পড়ে গিয়েছে। এই বিশেষ দিনের স্মৃতি হাতড়ে কী বললেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়?
দেবী সরস্বতীর উপর ভারী অভিমান সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের! কেন?
রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো। বাংলা মেতে উঠবে বাগদেবীর আরাধনায়। জায়গায় জায়গায় চলছে প্রস্তুতি। অন্যান্য আরও অনেক মানুষের মতোই এদিন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ও তাঁর আলিপুরের বাড়িতে বসে পুজো করবেন দেবী সরস্বতীর। দেবেন পুষ্পাঞ্জলি। তবুও ৮৬ বছর এসেও এই বিশেষ দিনটির কথা উঠলেই কী মনে পড়ে তাঁর?
সরস্বতী পুজো নিয়ে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি
বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী তিনি। এই বয়সে এসেও তিনি সমান দক্ষতার সঙ্গে বহু ছবিতে কাজ করে চলেছেন। তাঁকে শেষবার প্রধান ছবিতে দেখা গিয়েছিল। তবে প্রথমবার তাঁকে পাশের বাড়ি ছবিতে দেখা গিয়েছিল। সেখানে কাজ করে তিনি ২০০ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। এর পর কেটেছে বহু সময়। ১০ জনের বড় সংসারকে একটু একটু করে নিজের কাঁধে তুলে নেন সাবিত্রী।
অভিনেত্রীর বাড়িতে প্রতিবারই লক্ষ্মী এবং সরস্বতী পুজো হয়ে থাকে বেশ বড় করে। এবারও হবে। তার আগে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় টিভি৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন, 'প্রেমের কোনও নির্দিষ্ট দিন হয় নাকি? লোকের একটু বেশিই বাড়াবাড়ি এই দিনটা নিয়ে। আমার কাছে সরস্বতী পুজো মানেই কেবল দেবীর আরাধনা। আমাদের বাড়িতে সেই প্রথম থেকেই ঘটা করে এই পুজো করে এসেছি। মাঝে একবার এক দুর্ঘটনায় বন্ধ করে দিয়েছিলাম।'
তবে যতই বাগদেবীর আরাধনা করুন না কেন সাবিত্রী, এই পুজো কিন্তু তাঁর জীবন থেকে কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছুই। তাঁর বাবা শশধর চট্টোপাধ্যায় সরস্বতী পুজোর দিন মারা গিয়েছিলেন। তাঁর জামাই বাবু এমন এক পুজোর দিনেই চলে গিয়েছিলেন। অভিনেত্রী সেই যন্ত্রণার কথা ভাগ করে জানান, 'মা সরস্বতী আমার বাবা, জামাইবাবুকে কেরে নিয়েছে। সেই অভিমানে অনেক বছর পুজো করিনি। অবার গত ৩-৪ বছর ধরে করছি।' বুকে জল জমে গিয়েছিল তাঁর বাবার, সেটা বের করতে গিয়েই মারা যান তিনি। অন্যদিকে স্ট্রোক হয়ে মারা যান তাঁর জামাইবাবু।
প্রসঙ্গত উত্তম কুমার পর্যন্ত তাঁদের বাড়ির সরস্বতী পুজোয় এসেছিলেন। আগে যে বাড়ি গমগম করত, এখন সেই বাড়িতে একাই থাকেন। এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, 'আর তো কেউ নেই পুজো করার মতো। আমিই করি। এই গীতা বাড়িতে একা ভূতের মতো থাকি। মাটিতে বসতে পারি না। তাই চেয়ার টেবিলে বসেই অঞ্জলি দিই।'