বলিউডের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রী তিনি। বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে তিনি নজর কেড়েছেন। তাঁর অভিনয়ের গুণমুগ্ধ হাজারো। তবে অভিনয় ছাড়াও মাঝে মধ্যেই লাইমলাইটে উঠে আসে তাঁর ব্যক্তি জীবনও। কিন্তু জানেন কি এ হেন অভিনেত্রী একবার নয়, দুবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন: 'আমার বিনোদিনী ইতিহাস গড়ল', দেবের প্রশংসা আসতেই আনন্দে গদগদ রুক্মিণী! বললেন, 'আমার উপর...'
কী ঘটেছে?
শাবানা আজমির বাবা ছিলেন জনপ্রিয় কবি শওকত আজমি। সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে বরাবরই সমৃদ্ধ ছিল তাঁর পরিবার। খ্যাতনামাও বটে। কিন্তু এমন পরিবারে জন্মানোর পরেও শাবানা আজমির ছোটবেলা বা জীবনের শুরুর দিকটা বেশ ইমোশনাল চ্যালেঞ্জের মধ্যে কেটেছে। বহু লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এমনকি জাভেদ আখতারকে বিয়ের পর ভ্রু কুঁচকে লোকে তাকিয়েছে তাঁর দিকে, চর্চা হয়েছে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে।
জাভেদ আখতার মাঝে মধ্যেই শাবানা আজমির বাড়ি যেতেন তাঁর বাবাকে কবিতা শোনাতে। সেই থেকেই তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ বা আলাপ গড়ে ওঠে। গড়ে ওঠে সম্পর্কও। কিন্তু যেহেতু তখন জাভেদ আখতার বিবাহিত ছিলেন, সন্তান ছিল তাঁর তাই স্বাভাবিক ভাবেই অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে মানা হয়নি এই সম্পর্ক। যদিও পুরোনো স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার পর ১৯৮৪ সালে শাবানা আজমিকে বিয়ে করেন জাভেদ আখতার।
জীবনে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করলেও দুবার কিন্তু আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন শাবানা আজমি। তবে সেটার কারণ কিন্তু উক্ত জিনিস নয়। তাহলে? তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর তুলনা করা হতো বারবার। সেখান থেকে ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগতে থাকেন অভিনেত্রী আর সেই কারণেই নিজেকে শেষ করতে গিয়েছিলেন তিনি। তাও একবার নয় দুবার।
আরও পড়ুন: গার্ল গ্যাংয়ের সঙ্গে ভরপুর খানা-'পিনা'য় বর্ষবরণ রচনার! উত্তাল নাচ হুগলির সাংসদের
আরও পড়ুন: বক্স অফিসে ১০ কোটির গণ্ডি পার, পরিচালককে পাশে নিয়ে অবশেষে বড় পর্দায় ‘খাদান’-দর্শন দেবের!
প্রসঙ্গত শাবানা আজমি ১৯৭৪ সালে অঙ্কুর ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। সেই ছবিতে তিনি এক স্বাধীন, শক্তিশালী, আত্মনির্ভর মহিলার চরিত্রে অভিনয় করেন। এরপর থেকে শাবানা আজমি তাঁর বিভিন্ন চরিত্রে বিভিন্ন ধরনের মহিলার চরিত্র করেছেন, মহিলাদের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেছেন। মাসুম, আর্থ, ইত্যাদি ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। রকি অর রানি কী প্রেম কাহিনি ছবিতেও নজর কেড়েছিলেন অভিনেত্রী। আগামীতে তাঁকে ডাব্বা কার্টেল সিরিজে দেখা যাবে।