Taslima: ‘অকৃতজ্ঞ বাঙালি…’, ফেসবুকে বিস্ফোরক তসলিমা! ‘ভুলেও ওকাজ করবেন না’, এল পরামর্শ, লেখালিখি ছাড়ার কথা ভাবছেন নাকি?

Updated: 18 Jan 2025, 11:41 AM IST Tulika Samadder Tulika Samadder 18 Jan 2025 Taslima Nasrin, Taslima, Taslima Viral Post, তসলিমা নাসরিন, তসলিমা, ভাইরাল পোস্ট তসলিমা নাসরিনের

লেখালিখি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন নাকি তসলিমা নাসরিন। বাঙালি লেখিকার সোশ্যাল পোস্টে বিভ্রান্ত নেটিজেনরা।

1/6শুধু ভারত বা বাংলাদেশ নয়, গোটা দেশের মানুষের কাছে পরিচিত তসলিমা নাসরিন অবশ্যই তাঁর সাহিত্য কীর্তির জন্য। তবে সম্প্রতি ফেসবুকে এমন একটি পোস্ট করলেন, যা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে নেটিজেনদের। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি আর লেখালিখি করবেন না তিনি?

2/6সোশ্যাল পোস্টে তসলিমা লিখলেন, ‘হয়েছে, অনেক হয়েছে। ৫০টার চেয়েও বেশি বই লিখেছি অকৃতজ্ঞ বাঙালির জন্য, যে বাঙালি আমাকে গোটা বাংলায় এক ইঞ্চি মাটি দেয়নি দাঁড়াবার। এই অকৃতজ্ঞ বাঙালি আমার নিজের দেশে আমাকে বাস করতে দেয়নি। নিরন্তর নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে আমার অস্তিত্ব।’

3/6সঙ্গে নিজের এই পোস্টে আরও জুড়েছে, ‘এদের জন্য ভেবে মরে গেলেও, এদের কষ্ট নিবারণ করতে চাইলেও, এদের সুখ শান্তির জন্য, এদের প্রাপ্য অধিকারের জন্য দিন রাত না ঘুমিয়ে কাটালেও এদের কিছু যায় আসে না। এরা আমকে গালি দেবেই, এরা আমাকে অপমান অপদস্থ করবেই, এরা আমাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবেই, অবজ্ঞা করবেই, উপেক্ষা করবেই। দেখা হলো তো ৩০ বছর! এখন থেকে, যতদিন বাঁচি, বই পড়বো, গান শুনবো, নাটক সিনেমা দেখবো, ভ্রমণ করবো, আর আকাশ দেখবো।’ ফলত নেটনাগরিকদের প্রশ্ন, তিনি কি কোনোভাবে সাহিত্য জগত ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন।

4/6তবে নেটিজেনরা শান্ত করার চেষ্টা করেছে লেখিকাকে। একজন লেখেন, ‘সাবধান ম্যাডাম। চোরের ওপর রাগ করে মাটিতে ভাত খাবেন না। বাঙালি মানেই কি শুধু কি ওরাই?? তা বাদে আর যারা আছে-আছেন, কতো মানুষের হৃদয়ে, মননে, সাহসে আপনি আছেন! তার কী হবে?’ আরেকজন আবার লিখলেন, ‘আপনার দুঃখ-অভিমান খুব যৌক্তিক। তবুও ব্যক্তিগতভাবে আপনার কবিতার অপেক্ষা করি। চাই অন্তত কবিতা লিখুন।’ তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘আমাদের দেখুন। আপনার লেখা পড়েই আমরা বড় হয়েছি। প্রতিবাদের ভাষা শিখেছি। আপনি আমাদের আলোকবর্তিকা। আপনাকে এসব ছোটোখাটো বিষয়ে থেমে গেলে চলবে না’।

5/6বহুবছর ধরে নিজের দেশ বাংলাদেশের থেকে নির্বাসিত তিনি। কিছুসময় মার্কিন মুলুকে থাকার পর, আপাতত থাকছেন ভারতের দিল্লি শহরে। এখানেই শেষ নয়, বাংলায় অর্থাৎ পশ্চিমবাংলাতেও তিনি নিষিদ্ধ। তাঁর ভিসায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে, গোটা দেশের যেখানে ইচ্ছে যেতে পারেন, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া। যা নিয়ে বহুবার তাঁকে বামেদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। যদিও তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেও, অবস্থার সেরকম পরিবর্তন হয়নি।

6/6বারংবার তিনি ধর্মীয় গোঁড়ামি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাই মুসলিমদের বড় একটা অংশের চক্ষুশূল। সোশ্যাল মিডিয়া বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পরেও, ভালো-মন্দ নিয়ে লিখতে ভোলেন না। শুধু তাই নয়, হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর হয়ে চলা মুসলিম-অত্যাচার নিয়েও তিনি লিখে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়ায় অনবরত। বাঙালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য তাঁর মননে, জীবনে। এহেন লেখিকা যদি সাহিত্যজগত থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন, তহলে আঘাত তো আনবেই বাঙালি পাঠককূলের মনে।

পরবর্তী ফটো গ্যালারি

লেখালিখি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন নাকি তসলিমা নাসরিন। বাঙালি লেখিকার সোশ্যাল পোস্টে বিভ্রান্ত নেটিজেনরা।

Latest News

Latest entertainment News in Bangla

IPL 2025 News in Bangla

Trending Topics

Sections

বাংলার মুখ

ময়দান

ক্রিকেট

ভাগ্যলিপি