নাম ঊষসী চক্রবর্তী, টেলিপর্দার 'জুন আন্টি' হিসাবেই তাঁর পরিচিতি। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও বহুদিন ধরেই পরোক্ষভাবে বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ঊষসী। রাজনীতি তাঁর রক্তে। প্রয়াত বাম নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর মেয়ে হলেন ঊষসী। প্রত্যেকবারের মতো এবারও বাম প্রার্থীদের সঙ্গে জমিয়ে ভোটপ্রচার সারতে দেখা যাচ্ছে ঊষসীকে। সে তো না হয় হল, ভোটে দাঁড়ানোর কোনও পরিকল্পনা কি ঊষসীর আছে?
সম্প্রতি ভোটে দাঁড়ানো নিয়েই মুখ খুলেছেন ঊষসী চক্রবর্তী। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, রাজনীতি ও অভিনয়, তিনি দুটোই ভালোবাসেন। তবে ভোটে দাঁড়ানোর ভাবনা প্রসঙ্গে ঊষসী বলেন, ‘সবাই যদি প্রার্থী হবে, তাহলে প্রচার করবে কে?’ ঊষসী মনে করেন, তিনি প্রার্থী হওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নন। কারণ তিনি মনে করেন, প্রার্থী হলেই শুধু হয় না। সেই প্রার্থী যদি জয়ী হয়, তাহলে কিন্তু অনেক দায়িত্ব থাকে। নিজ কেন্দ্রে কোনও সমস্যা হলে ছুটে যেতে হয়, আর সেটা ভীষণ জরুরী বলে মনে করেন ঊষসী।
ঊষসী চক্রবর্তীর কথায়, ‘ধরুন আমি প্রার্থী হলাম, তারপর নির্বাচনে জয়ী হলাম। ৫ বছর ভাতা নিলাম, তারপর রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিয়ে নিলাম। তাতে কোনও লাভ নেই।’ এখানেই শেষ নয়, ঊষসীর কটাক্ষ, বহু অভিনেত্রীই রাজনীতির ময়দানে এসে হানিমুন পিরিয়ড কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। অনেকে আবার পরখ করে দেখছেন, দেখি রাজনীতিতে কতদূর যেতে পারি? তারপর যখন তাঁরা দেখছেন, এখানে কিছু পাওয়ার নেই, তখন বেপাত্তা হয়ে যাচ্ছেন।
ঊষসীর সাফ কথা, রাজনীতি তাঁর কাছে বিকল্প পেশা নয়। অভিনয়ের ক্ষেত্রে কাজ কম পড়লে রাজনীতিতে যোগ দেবেন, এমন ভাবনাও তাঁর নেই নেই। তাঁর কথায়, রাজনীতি উপার্জনের ক্ষেত্র নয়। ঊষসী বলেন, অভিনয় তাঁর পেশা। রাজনীতি থেকে তাঁর উপার্জনের আশা নেই। সৎ রাজনীতি করলে, সেখান থেকে টাকা রোজগারের কোনও সুযোগ আছে বলে মনে করেন না ঊষসী। বরং রাজনীতি করলে অনেক কিছু দিতে হয়।
স্মৃতিতে ডুব দিয়ে অভিনেত্রী জানান, তাঁর বাবা শ্যামল চক্রবর্তী সাংসদ ছিলেন, তিনি পারিশ্রমিক পেতেন। তবে সেটাকা তিনি দলকে দিয়ে দিতেন। তাঁর বাবা একদিন সক্রিয় রাজনীতি করার জন্য জেলেও গিয়েছেন। তখন তাঁর দুটো ফুসফুসই অকেজো হয়ে গিয়েছিল। তাঁর মাও জেলে গিয়েছিলেন বলে জানান ঊষসী। তিনি জানান, অভিনয় থেকে অবসর নিলে বই লেখার ভাবনা রয়েছে তাঁর। তিনি অবশ্য ইতিমধ্যেই লেখালিখি করেন।