গত মাস থেকেই যশ ও নুসরতের মধ্যে নাকি রিয়েল লাইফেও চলছে ‘আড়ি’, এমন খবরই আসছে সামনে। যা শুরু হয়, ইনস্টাগ্রামে একে-অপরকে আনফলো করার পর। আর সেই সময় দেখা যায়, আলাদা আলাদা ছুটি কাটাচ্ছেন টলিউডের এই জনপ্রিয় জুটি। ছেলে ইশান আর নিজের পরিবারকে নিয়ে দার্জিলিংয়ে নুসরত জাহান, আর প্রথম পক্ষের ছেলেকে নিয়ে বিদেশে যশ।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই লুকোছাপা বজায় রাখতে ভালোবাসেন যশ। তাঁর প্রথম বিয়ে ও সন্তানের খবর জানা নেই অনেকেরই। যশের প্রথম স্ত্রীর নাম শ্বেতা সিং কালহানস। পেশায় শ্বেতা সংবাদকর্মী।
ভালোবেসেই একে-অপরের পথ ধরেছিলেন শ্বেতা ও যশ। আর বিয়ের পর এক ছেলেরও জন্ম দেন, নাম রেয়াংশ। বর্তমানে যার বয়স ১৪ বছরের কাছাকাছি। ডিভোর্সের পর থেকে মুম্বইতেই থাকেন শ্বেতা।
করোনা লকডাউনের সময় যখন যশ-নুসরতের সম্পর্ক নিয়ে উত্তাল ছিল সংবাদমাধ্যম, যখন নুসরতের মা হতে চলার খবর এসেছিল, যখন নিখিল জৈন দাবি করেন তিনি নুসরতের সন্তানের ‘বাবা নন’, যখন যশ-নুসরতের ‘সহবাসের’ জল্পনা থাকলেও, কেউ রা কাটেননি প্রকাশ্যে, তখন প্রথমবার মিডিয়ায় মুখ খুলেছিলেন শ্বেতা।
এক সাক্ষাৎকারে আনন্দবাজারকে তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্তান পারস্পরিক হেফাজতের অধীনে। ডিভোর্সের সময় আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’ তাহলে কেন ছেলে তাঁর কাছে থাকে না? শ্বেতার জবাব ছিল, ‘সব মিটিয়ে দিয়েছি। আমার অতীত নিয়ে অনেক দিন থেকেই ভাবনাচিন্তা বন্ধ করে দিয়েছি। অনেক হয়েছে!’
সেই সময় নুসরত-যশকে নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন শ্বেতা। প্রাক্তনের প্রতি কোনো টান আছে কি না প্রশ্নে জবাব ছিল, ‘যশ যে দিন আমাদের পরিবার ছেড়ে চলে গিয়েছিল, সে দিন থেকেই ওর জন্য আমার ভালবাসা উধাও হয়ে গিয়েছে।’
শোনা যায়, যশের অন্য সম্পর্কে জড়ানোর কথা জানতে পেরেই সরে আসেন শ্বেতা। প্রায় ৩ বছর চলেছিল ডিভোর্সের মামলা। এরপর কলকাতার পাট চুকিয়ে শ্বেতা চলে যান মুম্বইতে।
নুসরত আর যশের সম্পর্ক ভাঙার জল্পনাতেও কিন্তু জড়াচ্ছে ‘তৃতীয় ব্যক্তি’র নাম। যিনি হলেন যশের ব্যক্তিগত সচিব পূনম ঝাঁ, যার জন্যই নাকি যশ আর নুসরতের মধ্যে এসেছে দূরত্ব। শ্বেতার সঙ্গে ডিভোর্সের পর, তাঁর প্রথম সন্তান রেয়াংশকে সামলান এই পূনমই। মাঝে নুসরতের এন্ট্রিতে এসেছিল দূরত্ব। তবে রেয়াংশের কারণে নাকি ফের কাছাকাছি যশ-পূনম। যশের বাড়িতেও ঘন ঘন যাতায়াত। আর তাতেই একটু গোসা হয়েছে নুসরতের। তবে তাঁদের সম্পর্কের সমীকরণ পরবর্তীতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা তো ভবিষ্যতই বলবে।