কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। আর তার মধ্যে ছোট মাছের আলাদা এক বিশেষত্ব রয়েছে। তবে তার মধ্যেও আবার অনেকেই প্রিয় কাজলি মাছ। গরমে ভাতের সঙ্গে কাজলি মাছ ভাজা খেতে অনেকই ভালোবাসেন। তবে কাজলি মাছের ঝাল দিয়ে ভাতও কিন্তু কম সুস্বাদু নয়। পেঁয়াজ, টমেটো, আদা, রসুন এবং মশলা দিয়ে সব বাঙালি বাড়ির রান্না ঘরে এই ঝোল ঝোল মাছের ঝোল প্রায়শই রান্না হয়ে থাকে। গরম ভাতের পাতে টক ঝাল এই কাজলির ঝালের স্বাদ নিতে দেখে নিন কীভাবে বানাবেন। রইল রেসিপি।
আরও পড়ুন: শুধু মুখের ঘা নয়, অনিদ্রাসহ ৫ রোগের সুরাহা করে জায়ফল! জানুন খাওয়ার কায়দা
কাজলি মাছের ঝোল রেসিপির উপকরণ
৫০০ গ্রাম কাজলি মাছ
২ টি পেঁয়াজ, মিহি করে কাটা
২ টি টম্যাটো, মিহি করে কাটা
২ চা চামচ আদা বাটা
২ চা চামচ রসুন বাটা
১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১ চা চামচ শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো
প্রয়োজন অনুসারে স্বাদমতো নুন
২ টেবিল চামচ সরষের তেল
প্রয়োজন অনুসারে সাজানোর জন্য ধনেপাতা
আরও পড়ুন: কখন রোজা হবে সোমে? বসিরহাট, হাওড়া, মালদা-সহ বাংলায় সেহরি ও ইফতারের পুরো সময় রইল
কাজলি মাছের ঝোল তৈরির প্রণালী
একটি কাড়াইয়ে সরষের তেল গরম করে মাছগুলো সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। তারপর একটি পাত্রে তা তুলে রেখে দিন। এর পর একই কড়াইতে প্রথমে মিহি করে কাটা পেঁয়াজ দিয়ে স্বচ্ছ হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন, তবে বাদামী করবেন না। এরপর এতে আদা এবং রসুন বাটা যোগ করুন। একটু ভাজা ভাজা হয়ে এলে তাতে টম্যাটো, হলুদ গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো এবং নুন যোগ করুন। টম্যাটো নরম না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। তারপর পুরো মশলা থেকে তেল ছেড়ে আসার অপেক্ষা করুন। মশলা থেকে তেল বেড়িয়ে এলে তাতে হালকা গরম জল যোগ করুন (ঠান্ডা জলের থেকে গরম জল ব্যবহার করলে স্বাদ আরও ভালো হবে।), তারপর কিছুক্ষণ ঝোল ফুটতে দিন। এরপর ঝোল ফুটে এলে তাতে ভাজা মাছ যোগ করুন এবং কয়েক মিনিটের জন্য রেখে দিন যাতে মাছের মধ্যে মশলা ঢোকে। তারপর নামানোর আগে তাতে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
রান্নার কিছু টিপস
১) স্বাদ ভালো করার জন্য মাছগুলি সোনালি না হওয়া পর্যন্ত ভালো করে ভাজতে ভুলবেন না।
২) আপনার স্বাদ অনুযায়ী মশলার মাত্রা কমবেশি করতে পারেন। বিশেষ করে শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো যোগ করার সময় নিজেদের স্বাদের কথা মাথায় রেখেই তা ব্যবহার করুন।
৩) টক স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য শেষে লেবুর রস মিশিয়ে দিতে পারেন।