১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে আইপিএল জিতল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আইপিএল ২০২৫ এর ফাইনাল ছিল দুর্ধর্ষ, শেষ মুহূর্ত অবধি মুগ্ধ হয়ে দেখেছেন দর্শক! নিজের এনার্জিটিক পারফম্যানসের জন্য তার পর থেকেই শিরোনামে বিরাট কোহলি। এদিন বিরাট এবং অনুষ্কা শর্মার ট্রফি হাতে নেওয়ার আনন্দের মুহূর্তগুলিও নজর কেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিশেষ করে বিরাটের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া। এমন উদযাপনের পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়ায় আধ্যাত্মিক গুরু প্রেমানন্দজি মহারাজের কিছু বিশেষ কথাও আবার মনোযোগ আকর্ষণ করছে।
এই বছরের শুরুতে, জানুয়ারিতে, বিরাট এবং অনুষ্কা তাঁদের সন্তান, ভামিকা এবং আকায়কে নিয়ে বৃন্দাবনে গিয়েছিলেন মহারাজের সঙ্গে দেখা করতে। সেখানেই প্রেমানন্দ জি বিরাটের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেছিলেন এবং অর্থপূর্ণ কিছু বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'অভ্যাস মে কামি নাহি হোনি চাহিয়ে' - যার অর্থ, কখনও প্রচেষ্টা করা বন্ধ করা উচিত নয়। তিনি বলেছিলেন যে বিরাট এবং অনুষ্কা উভয়ই নিজ নিজ কাজের মাধ্যমে মানুষকে খুশি করে। বিরাট তাঁর ক্রিকেট দিয়ে পুরো দেশে আনন্দ নিয়ে আসেন। বিরাটের জয়ে সারা ভারত খুশি হয়। ভারত জুড়ে মানুষ আতশবাজি দিয়ে উদযাপন করে। গুরুজির কথায়, এটাও এক ধরণের আধ্যাত্মিক সাধনা।
তিনি আরও বলেন, যদি বিরাট এবং অনুষ্কা তাঁদের জয় ঈশ্বরকে উৎসর্গ করে, তাহলে তা আরও বিশেষ হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, ' তাঁদের কঠোর পরিশ্রম ভারতের প্রতিটি শিশুকে খুশি করে। তাই, তাঁদের সাধনা হল অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া, মনোযোগী থাকা এবং এটি করার সময় ঈশ্বরকে স্মরণ করা। এটাই তাঁদের কাজকে এত বিশেষ করে তোলে।' গুরুজির কথায়, বিরাটের সাধন ভজন বিরাটের প্যাকটিস ও জয়লাভের ক্রমাগত প্রচেষ্টা। আমাদের অনুশীলনে কোনও অভাব থাকা উচিত নয়।
প্রসঙ্গত, এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে প্রেমানন্দ জি মহারাজের কথা সত্যিই বিরাটের হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে, এবং সম্ভবত সে কারণেই তিনি এত বড় জয় অর্জন করতে পেরেছেন। উল্লেখ্য, বিরাট টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা বলার ঠিক একদিন পরেই বিরাট এবং অনুষ্কা মহারাজ জি-র সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেসময় বিভিন্ন ছবি-ক্লিপ-ফুটেজে বিরাটকে ঈশ্বরের নাম জপ করতেও দেখা গিয়েছে, যা তাঁর আরও আধ্যাত্মিক দিকটি সামনে তুলে ধরেছিল।