International Asteroid Day: গ্রহ বা উপগ্রহ নয়, তাহলে গ্রহাণু কী? আন্তর্জাতিক গ্রহাণু দিবসে জানুন বিশদে
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 30 Jun 2024, 06:30 AM IST
বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > International Asteroid Day: গ্রহ বা উপগ্রহ নয়, তাহলে গ্রহাণু কী? আন্তর্জাতিক গ্রহাণু দিবসে জানুন বিশদে
পরবর্তী খবর
এই মহাবিশ্ব এমন একটি গোলকধাঁধা, যেখানে রয়েছে লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ। এই গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র আমাদের জীবনে প্রভাব ফেললেও যেটি আমাদের জীবনে কোনও প্রভাব ফেলে না সেটি হল গ্রহাণু। এই গ্রহাণু কী? কীভাবেই বা এর সৃষ্টি? জানুন বিস্তারিত।
গ্রহাণু কী?
গ্রহাণু অথবা অ্যাস্টেরয়েড হল প্রধানত পাথর দ্বারা গঠিত একটি বস্তু, যা কোনও নক্ষত্র বা গ্রহকে আবর্তন করে ঘুরতে থাকে। গ্রহাণু গুলির নিজস্ব কোনও বায়ুমণ্ডল নেই। বারংবার আকৃতিতে পরিবর্তিত হয় এগুলি। কখনও বামন গ্রহের মতো দেখতে লাগে কখনও আবার ছোট শিলার মত।
(আরও পড়ুন: ভাগ্যের পরিহাস! ৮ কোটি লটারি জিততেই মারা গেলেন স্বামী, ৬১ বছরের মহিলার দুর্ভাগ্যের গল্প)
পৃথিবীর ওপর গ্রহাণু গুলির প্রভাব :
গ্রহ বা নক্ষত্রের চারিপাশে ঘুরতে ঘুরতে যদি কোনও গ্রহের খুব কাছাকাছি এসে যায় এই গ্রহাণু গুলি, তাহলে সেই গ্রহের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। বিগত কয়েক বছরে পৃথিবীর কাছাকাছি এমন অনেকবার গ্রহাণু এসে যাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা, যদিও পরবর্তীকালে পৃথিবীর খুব কাছ দিয়েই সেই গ্রহাণু গুলি চলে যায় পৃথিবীর কোনও ক্ষতি না করেই।
কবে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক গ্রহাণু দিবস
প্রতি বছর ৩০ জুন আন্তর্জাতিক গ্রহাণু দিবস পালন করা হয়। এই বছরে রবিবার পড়েছে এই দিনটি।
আন্তর্জাতিক গ্রহাণু দিবসের ইতিহাস
১৯০৮ সালে তুঙ্গুস্কা ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয় সাইবেরিয়ায়। এই অনুষ্ঠানটি হয়েছিল সেই ঘটনার কথা মাথায় রেখে যখন একটি গ্রহাণু সাইবেরিয়া এবং রাশিয়ার ওপর এসে পড়ে এবং প্রায় ২ হাজার বর্গ কিলোমিটার বনভূমি ধ্বংস হয়ে যায়। গ্রহাণু আছড়ে পড়ার প্রভাব যে কত ভয়ংকর হতে পারে, সেই বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ২০১৬ সালে বিশ্ব গ্রহাণু দিবস ঘোষণা করা হয়।
(আরও পড়ুন: 'এবার থেকে মোমবাতি জ্বালাব' - ৪৫,০০০ টাকার ইলেকট্রিক বিল দিতে গিয়ে হতাশ ব্যক্তি)
বিশ্ব গ্রহাণু দিবসের তাৎপর্য
সৌরজগতে গ্রহাণুর ভূমিকা সম্পর্কে সকলকে সচেতন করা, পৃথিবীপৃষ্ঠে যদি গ্রহাণু আছড়ে পড়ে, তাহলে তার ফলাফল কী হতে পারে, সেই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই এই দিনটি পালন করা হয়।