এক এক করে পড়ছে বাংলাদেশি উইকেট, ইউনুসের দেশকে 'বুড়ো আঙুল' শাহের পুলিশের

গত মে ও জুন মাসে অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয় দিল্লি পুলিশ। এর মধ্যে শুধুমাত্র দ্বারকা জেলার পুলিশ ৪৭ জন বাংলাদেশি, ১৭ জন রোহিঙ্গা এবং সাতজন নাইজেরিয়ান সহ ৭১ জন বিদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে। দ্বারকার ডিসিপি অঙ্কিত সিং জানিয়েছেন, এই বিদেশিদের বৈধ ভিসা ছিল না। পুলিশের বিশেষ স্টাফ, উত্তম নগর থানা, অ্যান্টি নারকোটিক্স সেল, ছাওলা থানা ও এএটিএস টিমের অভিযানে এই সব অবৈধ বিদেশিরা ধরা পড়েছে। ধৃত বিদেশিদের ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের (এফআরআরও) সামনে হাজির করার পর তাদের ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়। এর আগে পুশব্যাক করা নিয়ে বাংলাদেশ সেনা কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে ভারতকে বার্তা দিয়েছিল। তবে তাতে অবৈধবাসী বাংলাদেশিদের ধরপাকড় বন্ধ করেনি দিল্লি পুলিশ। (আরও পড়ুন: অপারেশন ব্লু স্টারের বর্ষপূর্তিতে 'খলিস্তান জিন্দাবাদ' স্লোগান স্বর্ণমন্দিরে)আরও পড়ুন: এবার ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের দাবি মাস্কের, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান…আরও পড়ুন: রেপো রেট কমানোর হ্যাটট্রিক RBI-এর, সঙ্গে ক্যাশ রিজার্ভ রেশিওতেও কাটছাঁটএদিকে গত ২ জুন ভরতনগর থানা এলাকা থেকে ১৮ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে উত্তর-পশ্চিম দিল্লি পুলিশ। একই দিনে শাহদারা জেলা পুলিশ সীমাপুরী এলাকা থেকে ১৬ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছিল। উত্তরপ্রদেশ-দিল্লি সীমান্তের কাছে শহিদ নগর এলাকায় অবৈধ অভিবাসীদের ঘোরাফেরা চলছে বলে জানা গেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ২০০০ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে সীমান্ত পার করে নিজের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদিকে অনুপ্রবেশকারী বিরোধী এই অভিযান এখনও চলছে। এ সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির খবরও পাওয়া গেছে। গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দুই হাজারেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। (আরও পড়ুন: আইফেল টাওয়ার থেকে ৩৫ মিটার উঁচু,মোদীর উদ্বোধন করা চেনাব সেতুতে আছে কলকাতার ছোঁয়া)আরও পড়ুন: কাশ্মীর পেল ২ জোড়া বন্দে ভারত, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু দিয়ে যেতে কত খরচ?আরও পড়ুন: মুখে পরমাণু যুদ্ধের কথা বলা পাকিস্তানের ৪৫% দরিদ্র, ১৬% অতিদরিদ্র: বিশ্বব্যাঙ্কএর আগে সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্তে পুশব্যাক নিয়ে কাকুতি মিনতি করতে শোনা গিয়েছিল বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে। উল্লেখ্য, বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ থেকে কয়েক লাখ মানুষ চোরা পথে ভারতে অনুপ্রবেশ করে এখানেই বসবাস করছে। দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরু বিভিন্ন জায়গায় এই সব বাংলাদেশিরা কাজ করে। এরপর বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশের বাড়িতে টাকাও পাঠায় তারা। অনেকেই ইদের সময় চোরা পথে বাংলাদেশে গিয়ে কয়েকদিন করে কাটিয়েও আসে। এদের অনেকেই এখানে বিয়ে করেছেন। এই ধরনের অবৈধবাসীদের সম্প্রতি বাংলাদেশে 'পুশ ব্যাক' করছে ভারত। আর তাতেই আপত্তি বাংলাদেশের।এই আবহে পুশব্যাক নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ নাজিম-উদ-দৌলা আবার সম্প্রতি বলেছিলেন, 'পুশ-ইন আমরা লক্ষ্য করছি। এটা কোনও ভাবেই কাম্য নয়। এমনটা হতে থাকবে আর আমরা বসে থাকব, এটা ভাবারও কোনও কারণ নেই। বিজিবি এটা নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছে এবং সরকারও এ বিষয়ে অবগত। সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন আছে এমনটা মনে হলে সরকারের নির্দেশে অবশ্যই সেনাবাহিনী সেটাতে যাবে।' রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৪ মে থেকে কয়েক সপ্তাহে ভারত থেকে কয়েকশো বাংলাদেশিকে পুশ ব্যাক করা হয়েছে। এই আবহে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী জানান, পুশ ব্যাক বন্ধ করার দাবিতে ভারতকে নাকি চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশি কেউ ভারতে থেকে থাকলে তাঁকে সঠিক চ্যানেলে দেশে ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে যে ভারতীয়রা আছে, তাদের কিন্তু আমরা সঠিক চ্যানেলে পাঠিয়ে থাকি। আমরা কাউকে পুশব্যাক করি না।'