আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায় ভয়ঙ্কর সড়ক দুর্ঘটনা। একটি ট্রাক নদীতে পড়ে মৃত্যু হল জনেরও বেশি যাত্রীর। যার মধ্যে তিনজন হলেন মহিলা। রবিবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ইথিওপিয়ার সিদামা অঞ্চলে। সেখনাকার স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে এই দুর্ঘটনায় ৬৬ জন যাত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারগুলিতে। এছাড়া, বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘রকেটের গতিতে আসছিল’ বড়দিনের রাতে পরপর পথচারীদের ধাক্কা গাড়ির, মৃত ২, আহত ৫
সিদামা আঞ্চলিক সরকারের মুখপাত্র ওসেনিয়েলেহ সিমিওনও জানিয়েছেন দুর্ঘটনায় পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের বোনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। সিদামার আঞ্চলিক স্বাস্থ্য ব্যুরো জানিয়েছে, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার বোনা জুরিয়া ওয়ারেদার গেলানা সেতুতে। স্বাস্থ্য ব্যুরোর তরফে দুর্ঘটনার বেশ কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রাকের চারপাশে মানুষের ভিড় জড়ো হয়েছে। ট্রাকটি আংশিকভাবে জলে ডুবে রয়েছে। সেখানে জমায়েত করা মনুষজন ট্রাকটিকে ওঠানোর চেষ্টা করছেন। স্বাস্থ্য ব্যুরো দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। এ সম্পর্কে পরে আরও তথ্য আপডেট করা হবে বলে তারা জানিয়েছে।
পুলিশ কমিশন জানিয়েছে, রবিবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ। জানা গিয়েছে, ট্রাকটি ওই সেতু থেকে নদীতে পড়ে যায়। আরও জানা যায়, ওই রাস্তায় অনেক বাঁক রয়েছে। যার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি নদীতে পড়ে যায়। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ট্রাকটি ওভারলোড ছিল। সেই কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থাকতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে ট্রাকে কত জন যাত্রী ছিলেন? সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জনসংখ্যার নিরিখে আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হল ইথিওপিয়া। এই দেশে সড়ক দুর্ঘটনা স্বাভাবিক। খারাপ রাস্তার কারণে প্রায়ই দেশটিতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে ভয়ঙ্কর সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ইথিওপিয়ার পার্বত্য উত্তরে।২০১৮ সালে সেখানে একটি বাস খাদে পড়ে যায়। তারফলে কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছিলেন। যার মধ্যে বেশিরভাগই ছিল ছাত্র।