চলতি বছরে জুলাই-অগস্টে বাংলাদেশে যে হাসিনা বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল, তা গণঅভ্যুত্থানের আকার নিয়েছিল। সেই 'বিপ্লব' নিয়ে অবশ্য ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব সামনে এসেছে একের পর এক। প্রাথমিক ভাবে এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার সদস্যদের 'কোটা' দেওয়ার বিরুদ্ধে। মোট ৯ দফা দাবি সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল পড়ুয়ারা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোড় অবশ্য ঘুরে যায় জুলাইয়ের শেষের দিকে। তখন আন্দোলন শুরু হয় '১ দফার দাবিতে' - হাসিনার পদত্যাগ। ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। তবে কেন ৯ দফায় শুরু হওয়া আন্দোলন পরিণত হয়েছিল 'হাসিনা বিরোধী বিক্ষোভে'? এই নিয়ে প্রশ্নের আবহেই এবার ৩১ ডিসেম্বর 'বিপ্লবের ঘোষণা' করতে চলেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। (আরও পড়ুন: BSF-এর কপালে চিন্তার নয়া ভাঁজ, ভারতীয় ফসল কেটে 'পেট ভরাচ্ছে' বাংলাদেশিরা!)
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচারের 'সময়সীমা' যেন বেঁধেই দিলেন বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা…
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারি সহ অনেক ছাত্রনেতা একযোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন আগামী ৩১ ডিসেম্বর নিয়ে। এছাড়াও এই একই ধরনের পোস্ট করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সমন্বয়ক রিফাত রশিদ, তারিকুল ইসলামরা। সেই সব পোস্টে লেখা - 'কমরেডস, ৩১ ডিসেম্বর! নাও অর নেভার (এখন না হলে কখনোই নয়)'। এই পোস্ট ঘিরে জোর চর্চা চলছে বাংলাদেশে। শুরু হয়েছে জল্পনা। এই নিয়ে হাসনাত আবার অন্য এক পোস্টে লেখেন, 'এটা মুজিববাদের কবরের ঘোষণা।' সারজিস আবার লেখেন, '৩১ ডিসেম্বর! শহিদ মিনার বিকেল ৩টা। এখনই সময়, বাংলাদেশের জন্য...।' যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার পোস্টে লিখেছেন, 'কমরেডস, নাও অর নেভার।' (আরও পড়ুন: শেষকৃত্যে মনমোহনের পরিবারকে কীভাবে 'অপমান' BJP-র? 'তথ্য' তুলে ধরে তোপ কংগ্রেসের)