ইশরাকের পথের কাঁটা! মেয়র পদে বসার আগেই লিভ টু আপিল রুজু

আশঙ্কা একটা ছিলই, সেটাই সত্যি হল। হাইকোর্টের নির্দেশের পরও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের চেয়ারে এখনও বসতে পারলেন না বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তাঁকে ওই চেয়ারে পৌঁছে দেওয়ার পথ প্রস্তুত হয়েছিল বাংলাদেশের হাইকোর্টের নির্দেশে। কিন্তু, এবার হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধেই লিভ টু আপিল করা হল। আজ (সোমবার - ২৬ মে, ২০২৫) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সময় আওয়ামী লিগ (বর্তমানে নিষিদ্ধ) প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র পদে নির্বাচিত হন। এর ঠিক পরের দিনই -অর্থাৎ - ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। মেয়র পদে শপথ নিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তাপস। সেই ঘটনার একমাস পূর্ণ হতেই ২০২০ সালের ৩ মার্চ নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল করার আবেদন করে মামলা করেন ইশরাক হোসেন।

এদিকে, গত বছরের (২০২৪) ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের জেরে বাংলাদেশে আওয়ামী লিগ সরকারের পতন হয়। সেই বছরেরই ১৯ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন-সহ সিটি করপোরেশনের সমস্ত মেয়রকেই অপসারিত করা হয়।

এরপর চলতি বছরের (২০২৫) ২৭ মার্চ ইশরাকের করা নির্বাচনী দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় রায় ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। রায়ে তাপসের নির্বাচন বাতিল করা হয়। সেইসঙ্গে, ইশরাককেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা হয়। তার ভিত্তিতে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

কিন্তু, ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসি-র গেজেট প্রকাশ-সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত করার দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা রুজু করেন মহম্মদ মামুনুর রশিদ নামে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। গত ১৩ মে সেই মামলা হয়। যদিও গত ২২ মে হাইকোর্ট সেই রিট সরাসরি খারিজ করে দেয়। তাতে বলা হয়, ইশরাকের মেয়র হতে আর কোনও আইনি বাধা থাকল না। কিন্তু, হাইকোর্টের সেই আদেশের বিরুদ্ধেই আজ লিভ টু আপিল দায়ের করা হল।

লিভ টু আপিল যিনি করেছেন, সেই মামলাকারীর আইনজীবী মহম্মদ হোসেন বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো'কে জানান, 'হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসি-র গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত করতে চেয়ে লিভ টু আপিলটি দায়ের করা হয়েছে। আজ বা আগামিকাল চেম্বার আদালতে শুনানি হতে পারে।'