মাঝ আকাশে প্রশিক্ষণ চলাকালীন দুটি বিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষ। আর এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ভারতীয় ট্রেনি পাইলট-সহ ২ জনের।জানা গিয়েছে, মৃতরা দু’জনেই পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। টেক অফ এবং ল্যান্ডিং কীভাবে করা হয় সেই ট্রেনিংয়ের সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কানাডার মানিটোবা এলাকার হার্ভস এয়ার পাইলট ট্রেনিং স্কুলে। মৃত তরুণ শ্রীহরি সুখেশ (২১) কেরলের বাসিন্দা।কোচি থেকে কানাডায় পাড়ি দিয়েছিলেন পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন আরও একজন ছাত্র পাইলট, সাভানা মে রোয়েস (২০) কানাডার নাগরিক। এই ঘটনায় ভারতীয় কনসুলেট শোক প্রকাশ করে জানিয়েছে, 'শ্রীহরি সুখেশের মৃত্যুর খবরে আমরা শোকাহত। তাঁর পরিবার, বিমান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি, যাতে তাঁদের সবরকম সাহায্য দেওয়া যায়।'তবে প্রশ্ন উঠছে, পাইলট প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এতখানি গাফিলতি কী করে হল? দুই পাইলটকে কেন সতর্ক করা হল না।
আরও পড়ুন-প্রাক্তন প্রেমিকা-শিশুর গলা কেটে খুন! উত্তরাখণ্ডে গ্রেফতার যুবক, হুলস্থূল দিল্লিতে
অন্যদিকে, হার্ভস এয়ার স্কুলের প্রেসিডেন্ট অ্যাডাম পেনার জানিয়েছেন, দু’জনেই স্মল সেসনা সিঙ্গেল ইঞ্জিন নামের ছোট বিমান চালাচ্ছিলেন। তাঁরা মূলত টেকঅফ এবং ল্যান্ডিংয়ের অনুশীলন করছিলেন। প্রাথমিক অনুমান, দু’জনেই একসঙ্গে রানওয়ে ছোঁয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ই হয়তো তাঁরা একে অপরকে দেখতে পাননি, আর মাঝ আকাশেই ধাক্কা লাগে।দু’টি বিমানেই রেডিও থাকলেও যোগাযোগ হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, বিমানে কোনও যাত্রী ছিলেন না। দু’জন পাইলটকেই ঘটনাস্থলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কানাডার ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড।
আরও পড়ুন-প্রাক্তন প্রেমিকা-শিশুর গলা কেটে খুন! উত্তরাখণ্ডে গ্রেফতার যুবক, হুলস্থূল দিল্লিতে
জানা গেছে, ইতিমধ্যে শ্রীহরি প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স পেয়েছিলেন। এখন কমার্শিয়াল পাইলট হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর কেরলে পৌঁকিন্তু সেখানেই থেমে গেল তাঁর স্বপ্নের উড়ান।ছাতেই পরিবার ও আত্মীয়দের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।স্কুলের প্রেসিডেন্ট অ্যাডাম পেনার জানিয়েছেন, এই বিমান স্কুলে প্রতিবছর প্রায় ৪০০ ছাত্র পাইলট প্রশিক্ষণ নেন। শুধু কানাডা নয়, পৃথিবীর নানা দেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা এখানে এসে বিমান ওড়ানো শেখেন। কিন্তু এর আগে এমন মর্মান্তিক ঘটনা কখনও ঘটেনি বলেই জানা যাচ্ছে।