এর আগে ইলন মাস্কের সঙ্গে 'সংঘাতের' জেরে ডিপার্টমেন্ট অফ গভার্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি ছেড়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামাস্বামী। আর এবার মাস্কের জারি করা নির্দেশিকা 'অমান্য' করার পালটা নির্দেশ দিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এফবিআই প্রধান কাশ প্যাটেল। উল্লেখ্য, ইলন মাস্কের তরফ থেকে মার্কিন ফেডারেল কর্মীদের উদ্দেশে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সম্প্রতি। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ইলন মাস্কের নির্দেশিকায় নাকি বলা হয়েছে, জলদি নিজেদের কাজের রিপোর্ট জমা দিন, নয়ত চাকরি হারাবেন। তবে এফবিআই কর্মীদের কাজের খতিয়ান সংক্রান্ত এমন কোনও রিপোর্ট মাস্কের দফতরকে পাঠাতে বারণ করলেন কাশ প্যাটেল। (আরও পড়ুন: এশিয়ার সবচেয়ে ধনী পাঁচ পরিবারে ভারতের ২, শীর্ষ ২০-তে আরও ৪ নাম, তাতেও নেই আদানি)
আরও পড়ুন: ডিএ ক্ষোভের মাঝে মামলা, সরকারি কর্মীদের কাছে মাথা নত রাজ্য সরকারের, ঢুকবে বকেয়া
২২ ফেব্রুয়ারি গীতার ওপর হাত রেখে শপথগ্রহণ করেন কাশ প্যাটেল। এফবিআইয়ের নবম ডিরেক্টর হয়েছে তিনি। এই আবহে কাশ প্যাটেল নির্দেশে কর্মীদের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করে এফবিআই বলেছে, 'এফবিআই কর্মীরা হয়ত ওপিএম থেকে একটি ইমেল পেয়েছেন, যাতে কিছু তথ্য দেওয়ার জন্যে অনুরোধ করা হয়েছে। কর্মীদের জানানো হচ্ছে, এফবিআই কর্মীদের কাজের সমস্ত পর্যালোচনা ডিরেক্টরের অফিসের মাধ্যমেই হবে। আমাদের সমস্ত পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার দায়িত্বে রয়েছেন ডিরেক্টর এবং এফবিআইয়ের পদ্ধতি অনুসারেই সেই পর্যালোচনা পরিচালনা করবে। যখন এই তথ্যের প্রয়োজন হবে, আমরা সেই সব প্রতিক্রিয়া নিয়ে সমন্বয় করব। আপাতত, অনুগ্রহ করে কোনও জবাবি ইমেল পাঠাবেন না।' (আরও পড়ুন: ভারতের মাথায় 'বাজ' ফেলতে 'প্রস্তুত হচ্ছেন' ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বললেন…)
আরও পড়ুন: ১ বছর আগে সঙ্গীকে বিয়ে, এবার বাবা হলেন OpenAI-এর স্যাম অল্টম্যান
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সিও নিজেদের কর্মীদের এই ধরনের কোনও কাজের খতিয়ান সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে বারণ করেছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মার্কিন ফেডারেল সরকারের খরচ কমাতে ইলন মাস্কের ওপর 'চাপ' বাড়ান ট্রাম্প। উল্লেখ্য, মার্কিন ফেডারেল সরকারের খরচ বাগে আনতে এর আগে 'ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি' চালু করেছিলেন ট্রাম্প। সেই দফতরের মাথায় আছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ইতিমধ্যেই একাধিক খাতে খরচে কাটছাঁট করেছেন মাস্ক। এমনকী ইউএস এইড বন্ধও করে দিয়েছেন তিনি। এদিকে এরপরও ট্রাম্প চাইছেন, ফেডারেল সরকারের খরচ কমাতে যেন আরও বেশি 'অগ্রাসী' হন মাস্ক। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তাও পোস্ট করেছিলেন ট্রাম্প। আর ট্রাম্পের সেই বার্তা পোস্ট হতেই পালটা সরকারি কর্মীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন ইলন মাস্ক। (আরও পড়ুন: 'ওরা সুযোগ নিচ্ছে...', USAID বিতর্কের রেশ টেনে এবার মোদী সরকারকেই তোপ ট্রাম্পের?)
আরও পড়ুন: কলকাতার বাইমেলায় ছিল না স্টল, তবে মহাকুম্ভে বাংলাদেশি দল পাঠাল ইউনুসের সরকার
এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল সকাল (মার্কিন স্থানীয় সময়ে) ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছিলেন, 'ইলন দুর্দান্ত কাজ করছে। তবে আমি চাই, তিনি যাতে আরও বেশি আগ্রাসী হন। আমাদের মনে রাখতে হবে যে এই দেশকে বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদের ওপরে। এবং সর্বোপরী আমাদের এই দেশকে আগের থেকে শ্রেষ্ঠ করে তুলতে হবে। MAGA' ট্রাম্পের এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের পরপরই ইলন মাস্কের তরফ থেকে মার্কিন ফেডারেল কর্মীদের উদ্দেশে কাজের খতিয়ান চেয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়। ইলন মাস্ক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্ট করে লেখেন, 'প্রেসিডেন্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সব ফেডারেল কর্মী একটি ছোট ইমেল পেয়েছেন। তারা গত সপ্তাহে কী কাজ করেছেন, সেই নিয়ে তাদের জানাতে হবে। যদি এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তারা জমা দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে ধরে নেওয়া হবে তিনি পদত্যাগ করছেন।'