হাড়হিম ঘটনা উত্তরপ্রদেশে। পরিবারের সকলকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হল এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি নিজের মা, স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে একে একে গুলি করে খুন করে। ঘটনাটি ঘটেছে সীতাপুর জেলার রামপুর মথুরা থানা এলাকার পালহাপুর গ্রামে। পরিবারের ৬ সদস্যের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একইসঙ্গে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: পরপর গুলি, বাবা, ভাই সহ ১২জন আত্মীয়কে খুন করল যুবক, ইরানে হাড়হিম ঘটনা, কারণটা কী?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম অনুরাগ ঠাকুর (৪২)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, প্রথমে অনুরাগ তার মা সাবিত্রীকে (৬৫) গুলি করে খুন করে। তারপরে স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে (৪০) খুন করে। তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে খুন করে বলে জানা যায়। এরপর একে একে দুই কন্যা ও এক ছেলে যথাক্রমে অশ্বিনী (১২), অশ্বী (১০) এবং অদ্বৈতকে ৬ খুন করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুরাগ মাদকাসক্ত ছিল। সব সময়ই মাদকের নেশায় সে ডুবে থাকত। মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল অনুরাগ। তার মাদকের নেশা ছাড়ানোর জন্য সম্প্রতি তাকে একটি নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভরতি করতে চেয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিদিনই পরিবারের সদস্যদের মারধর করার পাশাপাশি গালিগালাজ করত অনুরাগ। তবে বেশ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কথা শুনে পরিবারের সদস্যদের ওপর বেজায় চটে যায় সে। বাড়ির সকলের সঙ্গে ঝগড়া করে। এরমধ্যেই একটি পিস্তল বের করে পরিবারের সদস্যদের একের পর এক গুলি করতে থাকে। ঘটনাস্থল থেকে ফরেন্সিক দল গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শান্ত ওই গ্রামটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামের বাসিন্দারা বাড়ির বাইরে ভিড় করেন। পুরো এলাকা ঘিরে রাখে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গ্রামের একটি বাড়িতে এমন ঘটনায় হতবাক সকলেই। মাদকের নেশায় যে কতটা ভয়ঙ্কর তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এই ঘটনা।
সীতাপুরের পুলিশ সুপার চক্রেশ মিশ্র জানিয়েছেন, সমস্ত দিক দিয়ে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। সবকিছু খতিয়ে দেখে মামলা দায়ের করা হবে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।