সরকারের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেকেই। সেই সূত্র ধরেই ১৩ টি সংগঠন ২৪ ঘণ্টার বনধ ডাকে।
মণিপুরে বাড়তি ফোর্স নামানো হল. (ANI)
সদ্য মণিপুরে ১০ সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গির মৃত্যুর পর থেকে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তাল হওয়ার দিকে যাচ্ছিল। সন্দেহভাজন জঙ্গিদের মৃত্যুর পর থেকে মণিপুরে ৩ শিশু ও ২ মহিলাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করছে। এদিকে, মণিপুরের পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে ২০ কোম্পানি প্যারামিলিটারি ফোর্স পাঠানো হয়েছে। অঙ্কের হিসাব আরও স্পষ্ট করলে, ফোর্সের ২,৫০০ জনকে সেখানে মোতায়েন করা হচ্ছে।
মণিপুরে ক্রমেই নতুন করে ফের হিংসা বাড়ছে। এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি অফিসার জানিয়েছেন, মণিপুরে হিংসা একপ্রকার স্রোতের মতো করে হয়ে চলেছে। জানা গিয়েছে, ২০ কোম্পানি সিআরপিএফ ও বিএসএফের ৫ কোম্পানি ফোর্স মণিপুরের নানা সংবেদনশীল জায়গায় মোতায়েন করা হবে। উল্লেখ্য, মণিপুরে গত বছর থেকেই জাতিদাঙ্গা চলছে। সেই সময় অনেককেই ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়। এদিকে, সদ্য পাওয়া খূর অনুযায়ী, ত্রাণ শিবির থেকে মোট ৬ জন মেইতেই সদস্যকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রিপোর্টের দাবি, জঙ্গিরা, এক মেইতেই মহিলা, তাঁর দুই সন্তান, এবং তিন নাতি নাতনিকে সোমবার অপহরণ করে। এই ছয় সদস্য ছিলেন ঘর ছাড়া। জাতিদাঙ্গা ঘিরে যে ৫০ হাজার মানুষ মণিপুরে ঘর ছাড়া, তাঁদের মধ্যে এই ৬ জনও ছিলেন।