ট্রুডো সরতেই খলিস্তান ইস্যুতে পাল্টাচ্ছে কানাডার নীতি? ‘কনিষ্ক বম্বিং’ নিয়ে কার্নি বললেন…

ঘটনা ৪০ বছর আগের। তারিখ ছিল ১৯৮৫ সালের ২৩ জুন। এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৮২ যাচ্ছিল কানাডার মন্ট্রিয়াল থেকে লন্ডন, দিল্লি, হয়ে মুম্বই। আটলান্টটিক মহাসাগরের ওপর সেদিন বিমান পৌঁছতেই তা বিস্ফোরণে ফেটে পড়ে। নিহত হন শতাধিক। ঘটনায় নেপথ্যে উঠে আসে খলিস্তানিদের নাম। সদ্য ২০২৫, ২৩ জুন ঘচনার ৪০ বছরের বার্ষিকীতে সেই অভিশপ্ত দিনে প্রয়াতদের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানাতে আয়ারল্যান্ডে পৌঁছয় ভারতের এক প্রতিনিধি দল। শ্রদ্ধা জানায় কানাডাও। আর এরপরই সন্ত্রাস নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এক জোরালো বার্তা দেন।সদ্য জি ৭ উপলক্ষ্যে কানাডা গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির। সদ্য কানাডার গদিতে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন মার্ক কার্নি। এর আগে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, কানাডার বুকে খলিস্তান পন্থী নিজ্জর হত্যায় ভারতের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। ঘটনা ঘিরে দুই দেশের সম্পর্ক শীতলতার দিকে এগোয়। এরপর কানাডার বুকে রাজনৈতিক কিছু পালাবদল হয়। আর নির্বাচিত হয়ে আসেন মার্ক কার্নি। এই কার্নিই সদ্য কনিষ্ক বম্বিং নিয়ে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সন্ত্রাস ইস্যুতে মুখ খুলেছেন। কার্নি লেখেন,' ৪০ বছর আগে, কানাডা তার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার মুখোমুখি হয়েছিল।' এরই সঙ্গে তিনি লেখেন,' আজ, আমরা এয়ার ইন্ডিয়া বোমা হামলায় নিহত ২৬৮ জন কানাডিয়ান এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিহত সকলের প্রতি শোক প্রকাশ করছি - যা সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই এবং কানাডিয়ানদের নিরাপদ রাখার আমাদের অঙ্গীকারের একটি বিষণ্ণ স্মারক।' মনে করা হচ্ছে, এই বার্তার মাধ্যমে কার্যত খলিস্তানি সন্ত্রাস ইস্যুতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে কানাডা। ( এবার ময়দানে অজিত ডোভাল! পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ 'বন্ধু' দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে দিলেন সন্ত্রাস বিরোধিতার পাঠ)( যুদ্ধের মাঝে ইজরায়েল থেকে জর্ডান..রুদ্ধশ্বাস উদ্ধার পর্ব! দেশে ফিরলেন ১৬১ ভারতীয়)এছাড়াও এক সরকারি বিবৃতিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেন,' শন্ত্রাসে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে জাতীয় স্মরণ দিবসে আমরা রয়েছি। আমরা স্মরণ করছি এয়ার ইন্ডিয়া বম্বিং এ ক্ষতিগ্রস্তদের এবং বাকিদের যাঁরা সন্ত্রাসে নিহত হয়েছেন। কানাডা তার সঙ্গীদের সঙ্গে সমানভাবে অভ্যন্তরে এবং বিশ্ব আঙিনায় কাজ করে যাবে, যাতে আরও ভালো করে সন্ত্রাস ও উগ্রপন্থা, চেনা যায়, তাকে রোখা যায় ও এমন হুমকির জবাব দেওয়া যায়।' আরও তাৎপর্যপূর্ণভাবে কার্নি বলেছেন,' কানাডার নতুন সরকার স্পষ্টভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রয়েছে।' তিনি বলেন,' আর যে জনমত আমরা পেয়েছি পরিবর্তনের পক্ষে..' তার দিকে তাকিয়ে তাঁরা কানাডা কাজ করবে।