অপরাধমূলক বা অসামাজিক কাজ রুখতে সাধারণত পুলিশকে সাদা পোশাকে টহল দিতে দেখা যায়। তবে সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে বেড়ে চলা চুরি, ছিনতাই এবং লুঠপাটের ঘটনা রুখতে একেবারে অভিনব পন্থা অবলম্বন করল পুলিশ। গাছের উপরে চড়ে নজরদারি শুরু করেছে মথুরার সশস্ত্র পুলিশ। যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে একের পর এক বেশ কয়েকটি ছিনতাই এবং লুঠপাটের ঘটনা ঘটার পরেই পুলিশ এই পদক্ষেপ করেছে। গাছের ওপরে চড়ে দূরবীনের সাহায্যে প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাচ্ছে সশস্ত্র পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মথুরা জেলার যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে টোল প্লাজার আগে মাঝপথে গাড়ি থামলেই দুষ্কৃতীরা চুরি, ছিনতাই বা লুঠপাট করছে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৯ মে দিল্লির পূর্ত দফতরের একজন ইঞ্জিনিয়ার তাঁরা স্ত্রীর সঙ্গে গাড়িতে যাচ্ছিলেন। মাঝপথে গাড়ি থামাতেই কয়েকজন অজ্ঞাত দুষ্কৃতী তাঁদের গাড়ির কাঁচ ভেঙে নগদ টাকা ও গয়না ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। এছাড়াও, গত ২ শে জুন ফিরজাবাদ থেকে তিন আত্মীয়ের সঙ্গে দিল্লি যাচ্ছিলেন এক মুদি ব্যবসায়ী। মাঝপথে তাদের গাড়ি থামতেই দুষ্কৃতীরা লুঠপাট চাকায়। সাধারণত সন্ধ্যা হলেই যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে দুষ্কৃতীরা চলন্ত গাড়িতে ঢিল ছুড়ছে। এরপর গাড়ি থামতেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে দুষ্কৃতীরা। এই অবস্থায় মাঝপথে কেউ যাতে গাড়ি না থানায় সেবিষয়ে প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ।
এছাড়াও, গাড়িতে দুষ্কৃতীদের ছোড়া পাথরের আঘাতে এক মহিলা আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওই এক্সপ্রেসওয়েতে নজরদারি বাড়াতে ১০০ টিরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে সেখানে পুলিশের টহলদারি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে। প্রতি ২ কিমি দূরত্বে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মথুরা পুলিশের এই পদক্ষেপকে নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। এছাড়া কেউ মাঝপথে গাড়ি থামলেই পুলিশ গিয়ে সতর্ক করছে।
পুলিশ সুপার শৈলেশ কুমার পান্ডে বলেন, লুঠপাটের সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতীদের স্কেচ তৈরি করা হয়েছে। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।