৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল ইদের সময় মুম্বইতে 'হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা, অগ্নিসংযোগ ও বোমা বিস্ফোরণ' হতে পারে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সতর্ক বার্তা পেল পুলিশ। এই আবহে বাণিজ্যনগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেই সতর্ক বার্তায় লেখা হয়েছে, 'অবৈধ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি এবং পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকাীরা' এই দাঙ্গা বাঁধাতে পারে। মুম্বইয়ের ডোংরির মতো এলাকার উল্লেখ করা হয়েছে সেই সতর্ক বার্তায়। এরপর ডোংরি এবং অন্যান্য সংবেদনশীল এলাকায় পুলিশি টহলদারি বেড়েছে। মুম্বই পুলিশের কর্মীরা ছাড়াও ক্রাইম ব্রাঞ্চ, অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে শহরে। (আরও পড়ুন: বাংলা পেল নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, ২০২৬'র ভোটের সময় দায়িত্বে থাকবেন এই IAS…)
আরও পড়ুন: 'মোদী খুবই স্মার্ট, আমার ভালো বন্ধু', শুল্কযুদ্ধে ভারত নিয়ে বড় বার্তা ট্রাম্পের
এদিকে দাঙ্গার সতর্ক বার্তা দেওয়া সেই ব্যক্তি যে কে, তা এখনও জানা যায়নি। সেই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে পুলিশের সাইবার শাখা তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, নবি মুম্বইয়ের পুলিশকে ট্যাগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তি এই দাঙ্গার সম্ভাবনা নিয়ে পোস্ট করেছিলেন। এরপরই মুম্বইতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এদিকে নবি মুম্বই পুলিশের তরফ থেকে সেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর চাওয়া হয়েছিল। তবে তা পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বিক্রি হয়ে গেল ইলন মাস্কের এক্স, কত দাম উঠল এই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার?
এদিকে জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ে দাঙ্গার সম্ভাবনার দাবি করা সেই ব্যক্তি এই একই ধরনের সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছেন দিল্লি পুলিশ এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার কাছে। দিল্লির ক্ষেত্রে জামা মসজিদ, চাঁদনি চক, জাহাঙ্গিরপুরীতে বোমা বিস্ফোরণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন সেই ব্যক্তি। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকেও সেই পোস্টে ট্যাগ করা হয়েছিল। এদিকে ইদের আগে পূর্ব দিল্লিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে সাম্প্রদায়িক হিংসা দেখা গিয়েছিল। মহারাষ্ট্রে এমনিতেই ঔরঙ্গজেবের সমাধি ইস্যুতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। এদিকে দিল্লিতে ওয়াকফ বিল বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল সম্প্রতি। এই আবহে যে কোনও ধরনের নাশকতা বা সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর পুলিশ এবং প্রশাসন।