বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Nishikant Dubey: ‘মুসলিম কমিশনার!’ সুপ্রিম কোর্টের পর এবার প্রাক্তন CEC-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য নিশিকান্ত দুবের
পরবর্তী খবর
Nishikant Dubey: ‘মুসলিম কমিশনার!’ সুপ্রিম কোর্টের পর এবার প্রাক্তন CEC-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য নিশিকান্ত দুবের
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 21 Apr 2025, 10:59 AM ISTSahara Islam
Nishikant Dubey: এবার প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার এস ওয়াই কুরেশিকে ‘মুসলিম কমিশনার’ বলে কটাক্ষ করেছেন সেই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। দেশের প্রাক্তন কোনও মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে তাঁর ধর্ম তুলে এভাবে কখনও কেউ নিশানা করেনি।
‘মুসলিম কমিশনার ছিলেন!’ ওয়াকফ আইন বিতর্ক, কুরেশিকে নিশানা নিশিকান্তের
সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে মন্তব্য করে আগেই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এবার প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার এস ওয়াই কুরেশিকে ‘মুসলিম কমিশনার’ বলে কটাক্ষ করেছেন সেই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।দেশের প্রাক্তন কোনও মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে তাঁর ধর্ম তুলে এভাবে কখনও কেউ নিশানা করেনি। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানি হিন্দু মন্ত্রী খেয়াল দাসের ওপর হামলা,সেন প্রধানের বিদ্বেষ ছড়ানোর ফল?)
কুরেশি দেশের ১৭তম মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার ছিলেন। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল অবধি ছিল তাঁর কার্যকাল। কুরেশির একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। ১৭ এপ্রিল, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার কুরেশি এক্স পোস্টে লিখেছিলেন, 'ওয়াকফ অ্যাক্ট সরকারের এক কুৎসিত ও ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা, যার উদ্দেশ্য মুসলিমদের জমি দখল করা। আমি নিশ্চিত যে সুপ্রিম কোর্ট এর বিরুদ্ধেই রায় দেবে। দুষ্ট প্রচারযন্ত্রের ভুল তথ্য তার কাজটি ভালোভাবেই করেছে।' এরপরেই পাল্টা জবাব দেন ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার সাংসদ।
কুরেশিকে নিশানা করে বিজেপি সাংসদ বলেন, 'আপনি নির্বাচন কমিশনার ছিলেন না, আপনি ছিলেন মুসলিম কমিশনার। আপনার আমলে ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনায় সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ভোটার তালিকায় তোলা হয়েছিল।' দুবে আরও দাবি করেন, '৭১২ খ্রিস্টাব্দে ভারতে নবী মুহাম্মদের ইসলাম এসেছে। যে ওয়াকফ সম্পত্তির কথা বলা হচ্ছে, তার অনেকটাই ইসলাম ভারতে আগমনের আগে হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ বা আদিবাসী ধর্মাবলম্বীদের সম্পত্তি ছিল।' সেই সঙ্গে ইতিহাস টেনে নিজের গ্রামের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমার গ্রাম বিক্রমশীলা ১১৮৯ সালে বখতিয়ার খলজির হাতে পুড়ে গিয়েছিল। এই বিক্রমশীলাই বিশ্বের প্রথম উপাচার্য অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থান। ইতিহাস পড়ুন। পাকিস্তান তৈরির সময় বিভাজন তৈরি হয়েছে। নতুন করে বিভাজন চাই না।'
এর আগে শনিবার সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বিরুদ্ধেও তীব্র মন্তব্য করেন দুবে। বার্তাসংস্থা এএনআইকে নিশিকান্ত দুবে বলেন, 'নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে আপনি কীভাবে নির্দেশনা দিতে পারেন? রাষ্ট্রপতি ভারতের প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ করেন। সংসদ এই দেশের আইন প্রণয়ন করে। আপনি কি সেই সংসদকে নির্দেশ দেবেন? আপনি কীভাবে একটি নতুন আইন তৈরি করছেন? কোন আইনে লেখা আছে যে রাষ্ট্রপতিকে তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে? এর মানে হল আপনি এই দেশকে অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে চান।' নিশিকান্ত দুবের সুরেই সুর মেলান আরেক বিজেপি সাংসদ দীনেশ শর্মা। যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল বিজেপিও।