পাকিস্তানের ফেসবুক ফ্রেন্ডকে নিকাহ করবেন বলে তাদের দেশে চলে গিয়েছেন ভারতের অঞ্জু। তবে এবার সেই ভারতীয় অঞ্জুর ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করল পাকিস্তান সরকার। তিনি দুমাসের ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। এবার তাঁর ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে একবছর করা হয়েছে। ডেইলি পাকিস্তানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, অঞ্জুর নাম বদলে হয়ে গিয়েছেন ফতিমা।
ফতিমার স্বামী নাসরুল্লাহ নিশ্চিত করেছেন দু মাসের ভিসা বৃদ্ধি করে একবছর করা হয়েছে। মূলত তাদের মধ্য়ে বিবাহ বন্ধন হওয়ার জন্যই এই ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ডেইলি পাকিস্তান সূত্রে খবর।
গত ২২ জুলাই অঞ্জু পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনওয়ার দিরবালা জেলায় গিয়েছিলেন। এরপর সেখানেই থাকতে শুরু করেন তিনি। তবে ভিসা নিয়েই তিনি পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে নানা ধরনের ভিডিয়ো পোস্ট করছেন তিনি। এমনকী অঞ্জুকে এক পাকিস্তান ব্যবসায়ী ফ্ল্যাটও দিয়েছেন বলে খবর।এবার তাঁর ভিসাও বাড়িয়ে দিল পাকিস্তান।
তবে অঞ্জু পরিবারের উপর নজর রাখা হয়েছিল আগেই। রাজস্থান পুলিশের কাছে অঞ্জুর প্রথম স্বামী অরবিন্দ কুমার জানিয়েছিলেন ২০ জুলাই অঞ্জু বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। তিনি জানিয়েছিলেন তিনি জয়পুরে যাচ্ছেন। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি যাচ্ছেন। তবে শেষ পর্যন্ত জানা যায় তিনি পাকিস্তানে উড়ে গিয়েছেন।
তবে এই ঘটনার পর থেকেই অঞ্জুর প্রতিবেশীরা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। এভাবে পাকিস্তানে চলে যাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। অঞ্জুর বাবা জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। তবে কাউকে না জানিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়ে ভুল করেছে মেয়ে। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রায় ২০ বছর মেয়ের সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ নেই। ও বিয়ে করে চলে গিয়েছিল ভিওয়াড়িতে।
এদিকে অঞ্জুর দুজন সন্তান রয়েছে ভারতে। তাদেরকে রেখেই পাকিস্তানে পালিয়েছেন তিনি। ফেসবুকে ওই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অঞ্জুর। এরপর সেই পরিচয় ক্রমশ গভীর হয়। আর তারপরই রীতিমতো ভিসা তৈরি করেন তিনি। সেই মতো সেই ভিসা নিয়েই তিনি সোজা পাকিস্তানে। তবে তার এই ভূমিকাকে মানতে পারছেন না অনেকেই। তবে আগেই অঞ্জুর স্বামী জানিয়েছিলেন, আমি কখনও স্ত্রীর ফোন ধরতাম না। কার সঙ্গে সে যোগাযোগ রাখছে জানতাম না।