বালোচ লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) সশস্ত্র জঙ্গিরা মঙ্গলবার পাকিস্তানের পার্বত্য অঞ্চলে একটি ট্রেনে হামলা চালিয়ে বহু যাত্রীকে পণবন্দি করেছে। আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্তবর্তী বালুচিস্তান প্রদেশের বিএলএ গোষ্ঠীর দাবি, তারা ২০ সেনাকে হত্যা করেছে এবং একটি ড্রোন গুলি করে নামিয়ে দিয়েছে।
গ্রুপটি ১৮২ জনকে পণবন্দি করেছে বলে দাবি করেছে। অসামরিক যাত্রীদের, বিশেষ করে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও বালুচের নাগরিকদের নিরাপদে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
পাকিস্তানে ট্রেন হামলার ১০ পয়েন্ট এখানে তুলে ধরা হল:
১) বালুচিস্তান প্রদেশে ট্রেনটিকে থামানো হয়। জঙ্গিরা বলে সেনা অভিযান চালালে সবাইকে খুন করা হবে।
২)বালুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ পিটিআইকে জানিয়েছেন, কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেসে তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।
৩)ওই এলাকায় ১৭টি সুড়ঙ্গ রয়েছে এবং ৮ নম্বর সুড়ঙ্গে ট্রেনটিকে আটকে দেয় সশস্ত্র জঙ্গিরা। এসব সুড়ঙ্গের ভেতরে ট্রেনের গতি অনেক সময় ধীর গতিতে চলে।
৪) পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি এই ঘটনার নিন্দা করে বলেছেন, যে জানোয়াররা নিরীহ যাত্রীদের উপর গুলি চালায় তারা কোনও ছাড় পাওয়ার যোগ্য নয়। সিবি হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সরকার।
৫) প্রদেশটির রাজধানী কোয়েটার রেলওয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মুহাম্মদ কাশিফ এএফপিকে বলেন, 'ট্রেনে থাকা ৪৫০ জনেরও বেশি যাত্রীকে বন্দুকধারীরা পণবন্দি করে রেখেছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
৬) বিএলএ এক বিবৃতিতে বলেছে, বন্দুকধারীরা ট্রেনে ওঠার আগে রেললাইনে বোমা হামলা চালায়। ‘জঙ্গিরা দ্রুত ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং সব যাত্রীকে পণবন্দি করে,’ গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ পণবন্দিদের উদ্ধারের চেষ্টা করলে 'গুরুতর পরিণতির' হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।
৭) রেলওয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা মুখতার আহমেদ ব্লুমবার্গকে বলেন, একটি দুর্গম, পাথুরে এলাকায় গুলি করে ট্রেনটি থামানো হয়। গোলাগুলির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি দুর্গম, পাথুরে ভূখণ্ড। ঘটনাস্থলে একমাত্র প্রবেশ করা যাবে পায়ে হেঁটে।
৮)ট্রেনটি কোয়েটা থেকে উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশোয়ারের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল।
৯) হামলার পর বোলান জেলার একটি প্রত্যন্ত এলাকায় ট্রেনটি থেমে যায়।
১০) বেলুচিস্তান এখন বিদ্রোহীদের আঁতুড়ঘর। বালোচ জাতীয়তাবাদী জঙ্গিরা প্রদেশের সম্পদের বড় অংশ দাবি করে।
এজেন্সিগুলির ইনপুট সহ
তবে অনেকের মতে যারা ট্রেন হাইজ্যাক করেছে তারা বালোচ লিবারেশন আর্মি বলেই পরিচিত। অর্থাৎ বিদ্রোহী তারা।